নির্দিষ্ট কিছু হাসপাতালে পরীক্ষামূলকভাবে ইউনিক হেলথ আইডি দেয়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর ফলাফলের ভিত্তিতে দ্রুতই এ কার্যক্রম সম্প্রসারণ করে প্রত্যেক নাগরিককে ইউনিক হেলথ আইডি দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
তিনি বলেছেন, পরীক্ষামূলকভাবে এ পর্যন্ত ১৪ লাখ ৩ হাজার ৮৮৯টি ইউনিক হেলথ আইডি প্রদান করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তরে সরকারদলীয় সংসদ সদস্য মাহমুদ হাসান রিপনের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপন করা হয়।
সরকারদলীয় সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের এমআইএস শাখা কর্তৃক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ডেঙ্গু রিপোর্টিং তৈরি হয়েছে; যার মাধ্যমে ল্যাবে পরীক্ষাকৃত ডেঙ্গু রোগীর পরীক্ষার ফলাফল সঙ্গে সঙ্গেই পাওয়া যাবে। এর মাধ্যমে একই রোগীর একাধিক রিপোর্ট রোধ করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, দেশের সব সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও জেলা সদর হাসপাতালে ‘ডেঙ্গু ফোকাল পারসন’ নির্ধারণ করা হয়েছে, যাদের মাধ্যমে নিয়মিতভাবে সারা দেশের ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় ডেঙ্গু টেস্ট কিট, আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) এবং অন্যান্য লজিস্টিকের স্টক এবং চাহিদা সংগ্রহ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা নিশ্চিতকরণে দেশের বিভিন্ন জেলার ৫৪টি হাসপাতালে আইভি ফ্লুইড (স্যালাইন) ২ লাখ ১৫ হাজার ৭৫২ লিটার, স্যালাইন সেট ৮ লাখ ৮৭ হাজার ৫৬৯টি, মশারি ২৬ হাজার ১৩৫টি ও ডেঙ্গু টেস্ট কিট ১ লাখ ১ হাজার ১৫৯টি মজুত রাখা হয়েছিল।
ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্য ২ লাখ কিট মজুত আছে। যার মধ্যে এক লাখ ১১ হাজার কিট ৬৪ জেলায় সরবরাহ করা হয়েছে। বাকি ৮৮ হাজার কিট মজুত আছে বলেও জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফরিদা ইয়াসমিনের প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৮৯০টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণের পরিকল্পনা আছে। এর মধ্যে বর্তমানে সারা দেশে মোট ১৪ হাজার ৩২০টি কমিউনিটি ক্লিনিক চালু আছে। এছাড়া ৬৩টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে।