ইউক্রেনকে সরাসরি অস্ত্র–সহায়তা দেওয়ার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরের দিন আজ বৃহস্পতিবার দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের একজন কর্মকর্তা এ কথা জানিয়েছেন।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পিয়ংইয়ং ছাড়ার কয়েক ঘণ্টা পর দক্ষিণ কোরিয়ার এই কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠানোর বিষয়টি পুনর্বিবেচনার পরিকল্পনা করছি।’
সিউলের দীর্ঘস্থায়ী একটি নীতি আছে। যার কারণে তারা যুদ্ধ চলছে, এমন কোনো অঞ্চলে অস্ত্র বিক্রি করে না। তাই রুশ হামলার পর ওয়াশিংটন ও কিয়েভের অনুরোধ সত্ত্বেও ইউক্রেনকে অস্ত্র বিক্রি করতে রাজি হয়নি দেশটি।
তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ইউক্রেনের পার্শ্ববর্তী দেশ পোল্যান্ডকে ট্যাংক ও হাউইটজার (আর্টিলারি অস্ত্র) বিক্রি করেছে দক্ষিণ কোরিয়া।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং–উনের স্বাক্ষর করা প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ওই কর্মকর্তা। এই চুক্তির ফলে পশ্চিমাদের নিষেধাজ্ঞা থাকা দেশ দুটির মধ্যে সামরিক, অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়বে। এ ছাড়া দেশ দুটির কোনো একটি সশস্ত্র আগ্রাসনের শিকার হলে অপর দেশটি তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক সহায়তা দেবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে চুক্তিতে।
দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা চ্যাং হো-জিন সাংবাদিকদের বলেন, ‘উত্তর কোরিয়ার সামরিক সক্ষমতাকে শক্তিশালী করে, এ ধরনের যেকোনো প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সহযোগিতা জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবের লঙ্ঘন। অথচ রাশিয়া নিজেই ওই প্রস্তাবের পক্ষে ছিল। তাই এমনটা করে স্বয়ং মস্কো চুক্তিটির লঙ্ঘন করেছে। পাশাপাশি উত্তর কোরিয়াকে সহায়তা দিলে তা দক্ষিণ কোরিয়া ও রাশিয়ার সম্পর্কে নিঃসন্দেহে নেতিবাচকভাবে প্রভাব ফেলবে।’
ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন ঠেকাতে পশ্চিমা দেশগুলো মস্কোর ওপর ইতিমধ্যে দফায় দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে।