নোয়াখালীর সদর উপজেলার দাদপুর ইউনিয়নে নামাজরত অবস্থায় ফিল্মি কায়দায় অস্ত্রের মুখে এক কিশোরীকে (১৭) অপহরণের অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দাদপুর ইউনিয়নের পূর্ব বারাহিপুর গ্রামের আমিন মিয়ার বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
বুধবার সকালে এ ঘটনায় ৪ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। ভুক্তভোগী কিশোরী স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এ বছর এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরীকে বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার সময় সেজান নামের এক যুবক প্রায়ই করত ও প্রেম নিবেদন করত; কিন্তু তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় ওই কিশোরীকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয় সেজান। সর্বশেষ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মায়ের সাথে নিজ ঘরে মাগরিবের নামাজ পড়ছিল ভুক্তভোগী কিশোরী। এ সময় সেজান ও শুভসহ ৪-৫ জন তাদের ঘরে প্রবেশ করে অস্ত্রের মুখে কিশোরীকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী কিশোরীর বাবা অভিযোগ করে বলেন, আমার মেয়েকে নামাজের জায়নামাজ থেকে জোরপূর্বক অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আমরা থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। পুলিশ এখনো আমার মেয়েকে উদ্ধার করতে পারেনি। আমার মেয়ের জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত।
দাদপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান শিপন বলেন, সন্ত্রাসী কায়দায় জোরপূর্বক নিজ ঘর থেকে কিশোরীকে অপহরণ করেছে স্থানীয় কিছু বখাটে। এ ঘটনায় স্থানীয়রা উদ্বিগ্ন। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে তার পরিবারে ফিরিয়ে দিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।
সুধারাম মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) স্বপন দে জানান, অভিযোগটি পাওয়ার সাথে সাথে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ‘অস্ত্রের মুখে অপহরণ’ হয়েছে কিনা তা এখনো বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্তাধীন।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, এ বিষয়ে আমরা একটা অভিযোগ পেয়েছি। আমাদের একাধিক দল ভুক্তভোগীকে উদ্ধারে কাজ করছে।