রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের মধ্যে ঐতিহাসিক এক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী দুই দেশের কোনোটি শত্রুর দ্বারা আক্রান্ত হলে একে অপরকে সাহায্য করবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়। বুধবার (১৯ জুন) পিয়ংইয়ংয়ে স্বাক্ষরিত এই চুক্তিকে একটি ‘জোট’ বলে অভিহিত করেছেন কিম। খবর রয়টার্সের
গত ২৪ বছরের মধ্যে এটিই পুতিনের প্রথম উত্তর কোরিয়া সফর। এই সফরেই এমন কৌশলগত চুক্তি স্বাক্ষরের পর পুতিন বলেন, ‘আজ স্বাক্ষরিত ব্যাপক অংশীদারত্বমূলক চুক্তিতে দুই পক্ষের বিরুদ্ধে আগ্রাসনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহায়তাসহ অন্যান্য বিষয়াদি রয়েছে।’
পুতিনের এই সফর রাশিয়া-উত্তর কোরিয়ার কয়েক দশকের সম্পর্কের পুনর্নির্মাণ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। কারণ তাদের ওপর সিউল এবং ওয়াশিংটন নজরদারি চালাচ্ছে ও ক্রমবর্ধমান সামরিক সম্পর্ক নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করছে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে পুতিন প্রতিবেশী ইউক্রেনে পূর্ণ মাত্রায় আগ্রাসন শুরু করার পরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা জোট রাশিয়ার ওপর নানা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে। যুক্তরাষ্ট্র উত্তর কোরিয়ার ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে রেখেছে।
চিরশত্রু যুক্তরাষ্ট্রকে বিরক্ত করতে রাশিয়া অনেক সময় উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে নিজেদের উষ্ণ সম্পর্ককে ব্যবহার করে।