রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ২৪ বছর পর উত্তর কোরিয়া সফরে গেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে তিনি পিয়ংইয়ংয়ে পৌঁছান। বিমানবন্দরে পুতিনকে স্বাগত জানান উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। পুতিনের অপেক্ষায় তিনি এত রাতেও পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দরের টারমাকে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
ছবিতে দেখা যায়, বিমানবন্দরের টারমাকে বিছানো লালগালিচায় একা দাঁড়িয়ে কিম। উড়োজাহাজ থেকে পুতিন নামতেই তাঁর সঙ্গে কিম উষ্ণ আলিঙ্গন করেন। পরে দুই নেতা একই লিমোজিন গাড়িতে করে বিমানবন্দর ত্যাগ করেন
পুতিন সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া সফরে গিয়েছিলেন ২০০০ সালের জুলাইয়ে। গতকাল পূর্ব সাইবেরিয়ার শহর ইয়াকুতস্ক থেকে উত্তর কোরিয়ার উদ্দেশে যাত্রা করেন পুতিন। অন্তত একটি যুদ্ধবিমান পুতিনকে বহনকারী উড়োজাহাজকে পাহারা দিয়ে উত্তর কোরিয়ায় নিয়ে যায়।
গত বছরের সেপ্টেম্বর রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উন। তখন তিনি পুতিনকে পিয়ংইয়ং সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। সেই আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে এখন পুতিন দুই দিনের সফরে উত্তর কোরিয়ায় গেলেন।
পুতিনের সঙ্গে সফরে দেশটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদল রয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ, পুতিনের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।
সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারত্ব চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন পুতিনের পররাষ্ট্রনীতি–বিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, চুক্তিটি দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াবে। গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি, নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যে যা কিছু হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেই এই চুক্তি হবে। তবে এ চুক্তি সরাসরি কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না।
পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র।
উত্তর কোরিয়া সফর শেষে বৃহস্পতি ও শুক্রবার (২০ ও ২১ জুন) ভিয়েতনাম সফরে যাবেন পুতিন।