রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মঙ্গলবার (১৮ জুন) দুই দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে উত্তর কোরিয়ায় যাচ্ছেন। সফরে দেশ দুটির মধ্যে অংশীদারি চুক্তি সই হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফলে পারমাণবিক শক্তিধর দেশ দুটির মধ্যে নিরাপত্তাসহ নানা ধরনের সহযোগিতা বাড়বে।
পুতিন সর্বশেষ উত্তর কোরিয়া সফর করেন ২৪ বছর আগে ২০০০ সালের জুলাইয়ে। গত বছরের সেপ্টেম্বর রাশিয়ার দূরপ্রাচ্য সফরে গিয়েছিলেন উত্তর কোরীয় নেতা কিম জং–উন। তখন তিনি পুতিনকে পিয়ংইয়ংয়ে নিমন্ত্রণ জানান। সেই নিমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে আগামীকাল দেশটিতে সফরে আসছেন পুতিন।
কাতার ভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা বলছে, পুতিনের সঙ্গে সফরে দেশটির বিভিন্ন বিভাগের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের একটি প্রতিনিধিদল থাকবে। এসব ব্যক্তির মধ্যে রয়েছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী আন্দ্রেই বেলোসভ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ ও পুতিনের জ্বালানিবিষয়ক প্রধান উপপ্রধানমন্ত্রী আলেকজান্ডার নোভাক।
সফরে রাশিয়া ও উত্তর কোরিয়ার মধ্যে একটি অংশীদারি চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে বলে জানিয়েছেন পুতিনের পররাষ্ট্রনীতিবিষয়ক উপদেষ্টা ইউরি উশাকভ। তিনি বলেন, চুক্তিটি দেশ দুটির মধ্যে সহযোগিতা আরও বাড়াবে। গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে দেশ দুটির মধ্যে যা হয়েছে, সেগুলো বিবেচনায় রেখেই এই চুক্তি সই করা হবে। তবে এ চুক্তি সরাসরি কোনো দেশকে লক্ষ্য করে করা হচ্ছে না।
এদিকে পুতিনের উত্তর কোরিয়া সফরকে ইতিবাচকভাবে নিচ্ছে না দক্ষিণ কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্র। পুতিনের এ সফর নিয়ে গত শুক্রবার মার্কিন উপ-রাষ্ট্রমন্ত্রী কার্ট ক্যাম্পবেলের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার ভাইস পররাষ্ট্রমন্ত্রী কিম হং-কিউন। দক্ষিণ কোরিয়ার শঙ্কা, পুতিনের সফরের ফলে মস্কো ও পিয়ংইয়ংয়ের মধ্যে সামরিক সহযোগিতা বাড়বে, যা জাতিসংঘের প্রস্তাবের লঙ্ঘন।