শাহিন আফ্রিদির নেতৃত্বেই খেলা উচিত ছিল বাবর আজমের, দায়িত্ব না নিয়ে বাবর দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারতেন বলে মনে করেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। শুধু বাবরকেই দোষারোপ করে থেমে যাননি এই কিংবদন্তি, দোষ দেখছেন বোর্ডেরও।
বিতর্ক আর পাকিস্তান ক্রিকেট যেন ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে। প্রায় সময়ই কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে অস্থিরতা কাজ করে পাকিস্তান ক্রিকেটে। এবারের বিশ্বকাপের আগে ইস্যু ছিল ক্যাপ্টেন্সি। ওডিআই বিশ্বকাপে ব্যর্থ হওয়ার পর দেশে ফিরেই অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেন বাবর আজম। ওই সময় টি-টোয়েন্টি দলের দায়িত্ব দেয়া হয় শাহিন আফ্রিদির কাঁধে। তবে এক সিরিজ পরই শাহিনকে সরিয়ে দিয়ে বাবর আজমকে ফেরানো হয়।
নেতৃত্বের এই অদলবদলের কারণে বিশ্বকাপের আগে দলের মধ্যে বিভেদ তৈরির গুঞ্জনও শোনা গিয়েছিল। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের প্রথম পর্ব থেকে পাকিস্তানের বিদায়ে আবারও আলোচনায় অধিনায়কত্ব প্রসঙ্গ। এর আগেও মেয়ের জামাই শাহিনকে অধিনায়কের দায়িত্ব থেকে বাদ দেয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ আফ্রিদি। দল সুপার এইটে যেতে না পারায় আবারও ক্ষোভ প্রকাশ করলেন তিনি।
শহীদ আফ্রিদি বলেন, ‘বাবরের উচিত ছিল শাহিনের অধিনায়কত্বকে সমর্থন করা। নেতৃত্ব না নিয়ে ও দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে পারত। শাহিনকে অধিনায়কত্ব দিলেন, বললেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবে। সেসময় বাবরের উচিত ছিল শাহিনকে সমর্থন করা। আর সেটা করলে বাবরের সম্মান বাড়ত, একটা দৃষ্টান্ত তৈরি হতো।’
অধিনায়ক বদলের ঘটনায় বাবরকে সম্পূর্ণ দায় দিচ্ছেন না আফ্রিদি। বরং নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে পিসিবিকেও দুষছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক। তিনি বলেন, ‘এখানে বাবরকে পুরোপুরি দোষ দেয়া যায় না। কিছু দায় নির্বাচকদেরও। কারণ কয়েকজন নির্বাচক প্রকাশ্যেই বলেছিলেন, কীভাবে অধিনায়কত্ব করতে হয়, তা শাহিন জানে না।’