সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় এক তরুণীকে উদ্ধার করতে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে তারাশ উপজেলার উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের পংরৌহালী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে পাঁচজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫/২০ জনকে আসামি করে তাড়াশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, পংরৌহালী গ্রামের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মো. রুবেল আহম্মেদ (২৯), তার ছোটভাই মো. আ: রহিম (২৬) ও তার মা মোছা. রেনুকা খাতুন (৫০) এবং মোছা. সুমাইয়া খাতুন (১৬)।
জানা যায়, গত ১৪ জুন বিকেলে এক তরুণী উপজেলার পংরৌহালী গ্রামে তার প্রেমিকের বাড়িতে আসেন। এ ঘটনায় মেয়ে নিখোঁজ হয়েছে মর্মে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ওই তরুণীর মা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুক্রবার রাত ১১ টার দিকে সাদা পোশাকে দুইজন কনস্টেবলকে সঙ্গে নিয়ে পংরৌহালী গ্রামে ওই তরুণীকে উদ্ধার করতে যান তারাশ থানার এসআই মো. শহিদুল ইসলাম।
এ সময় ওই তরুণীর চিৎকারে এলাকাবাসী পুলিশ সদস্যদের আটকে করে তাড়াশ থানায় খবর দেয়। পরে তাড়াশ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে জানান যে আটকৃতরা ডাকাত নন, পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, অপরিচিত হওয়ায় ডাকাত সন্দেহে উল্লাপাড়া থানার পুলিশকে ঘেরাও করা হয়। পরে তাড়াশ থানা পুলিশ আসলে নিশ্চিত হওয়ার পর তারা ওই তরুণীকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
তবে এসআই মো. শহিদুল ইসলামের অভিযোগ, বেআইনী জনতা দলবদ্ধ হয়ে পুলিশের উপর হামলা করে। এতে তিনিসহ দুজন কনেষ্টেবল আহত হয়ে তাড়াশ থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ্যাডভোকেট মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনা পুলিশের সাথে এবং পুলিশ নিজেই বাদী। তদন্তও করবে পুলিশ। ফলে এ মামলায় নিরপেক্ষ তদন্ত নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
উল্লাপাড়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার অমৃত সূত্রধর বলেন, ‘চারজন আসামি গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত করা হবে।’