public11

বাংলাদেশ কি পারবে তার ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের’ সুযোগ নিতে?

গত মার্চে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) জনসংখ্যা বিষয়ক সর্বশেষ জরিপ ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটাসটিকস-২০২৩’ অনুযায়ী দেশে বর্তমানে জনসংখ্যা ১৭ কোটি ১৫ লাখ, যার মধ্যে নারী ৮ কোটি ৭৩ লাখ ও পুরুষ ৮ কোটি ৪২ লাখ।

এর মধ্যে, ০ থেকে ৪ বছর বয়সী ১০.২২ শতাংশ, ৫ থেকে ১৪ বছর বয়সী ১৮.৫৬ শতাংশ, ১৫ থেকে ২৪ বছর বয়সী ১৮.৬৭ শতাংশ, ২৫ থেকে ৩৯ বছর বয়সী ২২.২৮ শতাংশ, ৪০ থেকে ৪৯ বছর বয়সী ১১.৮৭ শতাংশ, ৫০ থেকে ৫৯ বছর বয়সী ৮ দশমিক ৯৩ শতাংশ, ৬০ থেকে ৬৪ বছর বয়সী ৩.৩৩ শতাংশ এবং ৬৫ ঊর্ধ্ব বয়সীদের সংখ্যা ৬.১৪ শতাংশ।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড প্রাপ্তির মূল চ্যালেঞ্জ কর্মসংস্থান

বিবিএসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ শতাংশ, যেখানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা ৬৫ শতাংশ। এই হিসাবে দেখা যাচ্ছে, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড নেয়ার সুবর্ণ সুযোগ এখন বাংলাদেশের সামনে। তবে শুধু জনসংখ্যার পরিসংখ্যানে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বিপুল পরিমাণে থাকার মানেই কিন্তু নয় যে একটি দেশ এর সুযোগ গ্রহণ করতে পারবে, যদি-না তারা এই কর্মক্ষম জনশক্তিকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞে সম্পৃক্ত করতে পারে। বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ কর্মশক্তিতে পরিণত করে তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার ওপরই নির্ভর করছে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ পাওয়ার বিষয়টি।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে শ্রমশক্তি জরিপের সর্বশেষ ফলাফল অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ২৫ লাখ ৯০ হাজার বেকার আছেন। ২০২৩ সাল শেষে গড় বেকারের সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ ৭০ হাজার। এর মানে গত বছরের তুলনায় এখন দেশে বেকারের সংখ্যা বেশি। বর্তমানে বেকারের হার ৩ দশমিক ৫১ শতাংশ, ২০২৩ সালের গড় বেকারের হার ছিল ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) নিয়মানুসারে, যারা সাত দিনের মধ্যে মজুরির বিনিময়ে এক ঘণ্টা কাজ করার সুযোগ পাননি এবং এক মাস ধরে কাজপ্রত্যাশী ছিলেন, তারা বেকার হিসেবে গণ্য হবেন। বিবিএস এই নিয়মানুসারেই বেকারের হিসাব দিয়ে থাকে।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, দেশের শ্রমশক্তিতে এখন ৭ কোটি ৩৭ লাখ ৫০ হাজার নারী-পুরুষ আছেন। এর মধ্যে ৭ কোটি ১১ লাখ ৬০ হাজার লোক কর্মে নিয়োজিত। বাকিরা বেকার। এ ছাড়া শ্রমশক্তির বাইরে বিশাল জনগোষ্ঠী আছে। তারা কর্মে নিয়োজিত নয়, আবার বেকার হিসেবেও বিবেচিত নয়। এমন জনগোষ্ঠীর সংখ্যা প্রায় ৪ কোটি ৮২ লাখ ৬০ হাজার। তারা মূলত শিক্ষার্থী, অসুস্থ, বয়স্ক, কাজে অক্ষম, অবসরপ্রাপ্ত ও কর্মে অনিয়োজিত বা নিয়োজিত হতে অনিচ্ছুক ব্যক্তি।

যেখানে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পাওয়ার মূল শর্ত হলো: দেশের তরুণ কর্মশক্তির উপযুক্ত কর্মসংস্থান সেখানে বাংলাদেশে যুবকদের বেকারত্বের হার বর্তমানে অনেক বেশি। বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) তথ্যানুযায়ী দেশে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৬ শতাংশ। এর মধ্যে যুব বেকারত্ব প্রায় ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া শিল্প খাতে মোট কর্মসংস্থানের ৯০ শতাংশ এবং সেবা খাতে প্রায় ৬৮ শতাংশ অনানুষ্ঠানিকভাবে কর্মরত।

পাশাপাশি দেশে তরুণ কর্মশক্তির সংখ্যা কমছে বলেও উঠে আসছে বিভিন্ন জরিপে। বিবিএসের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক শ্রমশক্তি জরিপের তথ্যানুযায়ী, ২০২৪ পঞ্জিকাবর্ষের প্রথম প্রান্তিক (জানুয়ারি-মার্চ) শেষে দেশে তরুণ জনশক্তির সদস্যসংখ্যা ছিল ২ কোটি ৫৯ লাখ ২০ হাজার। ২০২৩ সালের একই সময়ে এ সংখ্যা ছিল ২ কোটি ৭৩ লাখ ৮০ হাজার। সে অনুযায়ী এক বছরের ব্যবধানে দেশে যুব শ্রমশক্তি হ্রাস পেয়েছে ৫ শতাংশের বেশি। শ্রমশক্তিতে অন্তর্ভুক্ত যুবকের সংখ্যা কমেছে প্রায় ১৪ লাখ ৬০ হাজার।

অথচ গত শতাব্দীর ষাটের দশক থেকে শুরু করে নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত যুব কর্মশক্তিকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ হিসেবে তৈরি করে তাদের উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার মাধ্যমে নিজের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সদ্ব্যবহার করতে সক্ষম হয়েছে হংকং, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া ও তাইওয়ানের মতো দেশগুলো।

এ ব্যাপারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংখ্যা বিজ্ঞান (পপুলেশন সায়েন্স) বিভাগের অধ্যাপক ও সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ মঈনুল ইসলাম বলেন, ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের কতগুলো বিষয় রয়েছে। এর অন্যতম প্রধান দিক হচ্ছে, নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর থেকে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি থাকতে হবে। আমাদের দেশেও এখন কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেশি। এর অন্যতম কারণ হলো আমাদের মৃত্যুহার কমেছে। তবে শুধু কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেশি থাকা মানেই আপনি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগ গ্রহণ করতে পারবেন বিষয়টি এমন নয়, যদি আপনি আপনার কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে ‍সুপ্রশিক্ষিত না করতে পারেন, তাদের দক্ষ কর্মশক্তিতে পরিণত করতে না পারেন, তাদের পর্যাপ্ত শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের ব্যবস্থা করতে পারেন, তাদের জন্য পর্যাপ্ত ও উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে না পারেন, এবং এগুলো নিশ্চিত করতে দেশে সুশাসন নিশ্চিত করতে না পারেন; ততক্ষণ পর্যান্ত এই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সুযোগ নিয়ে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পাওয়া সম্ভব হবে না।’

বিশ্বের যেসব দেশের মধ্যে কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর হার বেশি তাদের মধ্যে বাংলাদেশ থাকলেও এই ডিভিডেন্ডের সুযোগ বজায় থাকবে ২০৩৫ সাল পর্যান্ত। এর পর থেকে কিন্তু দেশে মৃত্যুহার আরও কমে গিয়ে দেশে নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা দিন দিন বাড়তে থাকবে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগ নিতে হলে ওই সময়ের আগেই দেশের বর্তমান কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে প্রশিক্ষিত করে দক্ষ মানবসম্পর্দে রূপান্তর করতে হবে এবং তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে হবে। কিন্তু নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার আগেই যদি বাংলাদেশ তা করতে ব্যর্থ হয়, তবে কমতে থাকা কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর ওপর বয়সী নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর চাপ তৈরি হবে।

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেতে বাড়াতে হবে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ

বাংলাদেশ ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সুযোগ পাবে কি না, তা নির্ভর করবে আগামী দশ বা বারো বছরের মধ্যে এই কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ কর্মশক্তিতে পরিণত করার মাধ্যমে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে কি না? আর সেখানে প্রত্যাশা ও বাস্তবতার বিশাল ফারাক দেখছেন এই জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞ। বিশেষ করে এবারের বাজেটে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে প্রত্যাশার থেকে কম বরাদ্দ দেয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে ড. মঈনুল বলেন, একটি দেশের কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ কর্মশক্তিতে রূপান্তরিত করতে হলে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হয় শিক্ষা ও স্বাস্থ্যকে। অথচ দুঃখজনক হলো, বহু বছর ধরেই বাংলাদেশের বাজেটে এই দুই খাতে প্রত্যাশিত বরাদ্দ দেয়া হয় না। যার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে আগামী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটেও।

গত ৬ জুন জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত আগামী অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষা খাতে মোট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে জিডিপির ১ দশমিক ৬৯ শতাংশ, যেখানে গত অর্থবছর বরাদ্দ ছিল জিডিপির ১ দশমিক ৭৬ শতাংশ। অপরদিকে স্বাস্থ্য খাতে আগামী অর্থবছরের জন্য বরাদ্দ জিডিপির মাত্র ০ দশমিক ৭৪ শতাংশ।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করে ড. মঈনুল বলেন, ‘দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন এই দুই খাতে বিনিয়োগ। অথচ এখনও স্বাস্থ্য খাতে জিডিপির এক শতাংশও বিনিয়োগ করা হয় না। আমাদের নির্ভরশীল জনগোষ্ঠীর সংখ্যা কর্মক্ষম জনগোষ্ঠী বেড়ে যাওয়ার আগেই ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেতে হলে এখনই আমাদের শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন। অথচ এবারের বাজেটেও এর প্রতিফলন আমরা দেখলাম না।’

তিনি বলেন, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেতে হলে বাংলাদেশের এই বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীকে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে, তাদের জন্য উপযুক্ত কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে হবে, কিন্তু তার জন্য প্রয়োজন বিপুল বিনিয়োগ। বিনিয়োগ করা না হলে এই কর্মশক্তিকে কাজে লাগানো যাবে না।

পাশাপাশি ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ডের সঙ্গে সুস্বাস্থ্যের সম্পর্ক রয়েছে উল্লেখ করে ড. মঈনুল বলেন, যদি একজন কর্মশক্তি অসুস্থ থাকে, তার কর্মশক্তির উপযুক্ত ব্যবহার সম্ভব হবে না কর্মক্ষেত্রে, তাই সার্বিকভাবে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেতে হলে শুধু দক্ষ কর্মশক্তি থাকলেই চলবে না, তাদের সুস্বাস্থ্যও নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্য খাতে প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ। পাশাপাশি শুধু শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে বরাদ্দ দিলেই হবে না, এই বরাদ্দ যথাযথভাবে উপযুক্ত জায়গায় খরচ হচ্ছে কি না, সে বিষয়টিও নিশ্চিত করতে হবে। তার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সুশাসন বা গুড গভর্নেন্স। প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা। এ জন্য সুশাসনের কোনো বিকল্প নেই। তবে এসব ব্যাপারে উদ্যোগের ঘাটতি রয়েছে, যা ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে সহায়ক হবে না।

নীতিনির্ধারণে সম্পৃক্ত করতে হবে বিশেষজ্ঞদের

ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড প্রাপ্তির ক্ষেত্রে গবেষণা ও এ-সংক্রান্ত নীতিনির্ধারণে বিশেষজ্ঞদের সম্পৃক্ত করতে হবে উল্লেখ করে ড. মঈনুল বলেন, ২০১২ সালে বাংলাদেশে জনসংখ্যা নীতি প্রণয়ন করা হয়। কিন্তু গত ১২-১৩ বছরে এর কোনো বৈঠকই হয় না। অথচ সরকারের নীতিনির্ধারকদের এ ব্যাপারে গবেষকদের গবেষণালব্ধ জ্ঞানের সাহায্য নিতে হবে। তাদের মতামতকে গুরুত্ব দিতে হবে।

সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও নীতি বাস্তবায়নে দক্ষতার অভাবে দেশের বর্তমানে বিপুল কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর কর্মশক্তির সম্ভাবনার অপচয় হচ্ছে উল্লেখ করে ড. মঈনুল বলেন, দেশের শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বাড়লেও তারা তাদের নিজ নিজ দক্ষতা অনুযায়ী উপযুক্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ পাচ্ছে না। দেশে নারীদের কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে না। এ জন্য গ্রামাঞ্চলে বাল্যবিবাহের পরিমাণ আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে।

যে মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যাচ্ছে তারা দ্রুত মা হচ্ছে, ফলে তারা আনুষ্ঠানিক শ্রমবাজারে প্রবেশ করতে পারছে না, দেশের জিডিপিতে তাদের কর্মশক্তির প্রতিফলন হচ্ছে না। দেশে কর্মক্ষম নারী ও পুরুষের সমভাবে উপযুক্ত কর্মসংস্থান না হলে ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পাওয়া সম্ভব হবে না। বিশেষ করে দেশের নারীরা এখনও আনুষ্ঠানিক শ্রমবাজারে অংশ নেয়া থেকে অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড পেতে হলে তাদেরও দেশের মূল কর্মশক্তিতে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। যে জন্য প্রয়োজন সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও পরিকল্পনার বাস্তবায়ন। আর পরিকল্পনার বাস্তবায়নের জন্য প্রয়োজন সুশাসন।

এ ক্ষেত্রে তিনি দেশের কর্মশক্তির অপচয়ের হতাশাজনক চিত্র তুলে ধরে বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের যে কর্মীরা যাচ্ছেন তারা মূলত অন্যান্য দেশের কর্মীদের তুলনায় কম বেতনে যাচ্ছেন, আবার দেশেও দক্ষ কর্মীর সংকট রয়েছে, যার সুযোগ নিয়ে প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক বিদেশি নাগরিক বাংলাদেশের কর্মক্ষেত্রে কাজ করে দেশ থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা তাদের নিজ নিজ দেশে নিয়ে যাচ্ছে।

দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে উপযুক্ত শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে দক্ষ জনশক্তিতে পরিণত করতে না পারলে বাংলাদেশের এই বিপুল জনগোষ্ঠী অচিরেই ‘ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড’ তৈরির করার বদলে ‘ডেমোগ্রাফিক ডিজাস্টার’ তৈরি হতে পারে বলেও এ সময় আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।

Scroll to Top