তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের এটুআই প্রকল্পের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ডিজিটাল সেন্টারভিত্তিক ‘প্রবাসী হেল্পডেস্ক’ বাস্তবায়নে উদ্যোক্তাদের দক্ষতা বাড়াতে তিন দিন ব্যাপী প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ‘আমি প্রবাসী লিমিটেড’।
সম্প্রতি ঢাকার স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ভবনের মিলনায়তনে প্রশিক্ষণটির সমাপনী পর্ব অনুষ্ঠিত হয় বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
দ্বিতীয়বারের মতো দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৩০০ ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের জন্য আমি প্রবাসী লিঃ-এর অন্তর্ভুক্ত ফিচারসমূহ নিয়ে আয়োজিত হয় দক্ষতা বৃদ্ধিমূলক এই প্রশিক্ষণ। ফলস্বরূপ এখন পর্যন্ত ৬০০টি ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাগণ লাভ করেছেন আমি প্রবাসী অ্যাপ এবং ওয়েবসাইট সম্পর্কে বিস্তারিত জ্ঞান।
কর্মশালার তৃতীয় দিনে উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (নির্বাহী সেল ও পিইপিজেড) মহাপরিচালক শাহিদা সুলতানা এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক ট্রেনিং ইনস্টিটিউটের ধ্যক্ষ ইস্কান্দার পারভেজ সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও স্টেকহোল্ডাররা।
উপস্থিত অতিথিগণ ইউডিসি এবং আমি প্রবাসী নিয়ে তাঁদের মূল্যবান বক্তব্য রাখেন। জনাব শাহিদা সুলতানা উল্লেখ করেন যে, “স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে তৈরি হতে, উন্নত দেশসমূহের মতো আমাদের দেশেও পরিষেবা কেন্দ্রিক কর্মক্ষেত্রে অত্যন্ত জরুরি। এক্ষেত্রে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর কাছে প্রয়োজনীয় পরিষেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারগুলির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা আমরা বিশ্বাস করি।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানটির সমাপনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন এটুআই এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জনাব মোল্লা মিজানুর রহমান, ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের প্রধান শরিফুল হাসান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (মানব সম্পদ ব্যবস্থাপনা ও অর্থ) জনাব জসীম উদ্দীন হায়দার এবং আমি প্রবাসী লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব নামির আহমেদ নুরিসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও স্টেকহোল্ডাররা।
এটুআই এর যুগ্ম প্রকল্প পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জনাব মোল্লা মিজানুর রহমান আমি প্রবাসীর প্রশংসা করে বলেন, “আমি প্রবাসী অ্যাপ এ অনেক ধরনের সার্ভিস রয়েছে। এটি খুবই চমৎকার একটি ব্যাপার। একটা জায়গা থেকে আপনারা সব ধরনের সুযোগ পেতে পারেন।
তিনি বলেন, আমরা অনেক সময় জানি না বিদেশে কতজন লোক যাচ্ছে কিংবা কোন কোন ক্ষেত্রে কতজন লোক নিচ্ছে। আমি প্রবাসীর মাধ্যমে তা জানা যাচ্ছে। এই তথ্যগুলো জনগনের কাছে পৌছলে তাদের আর হয়রানির শিকার হতে হবে না এবং বৈধভাবে বিদেশ যেতে পারবে।
আমি প্রবাসীর সম্ভাবনাময় ভবিষ্যতের কথা উল্লেখ করে জনাব নামির আহমেদ নুরি বলেন, “আমি প্রবাসী এবং এটুআই-এর এই সহযোগিতামূলক সম্পর্কের ফলাফল হিসেবে আমি প্রবাসী দেশের সবচেয়ে বড় ট্যালেন্ট পুল তৈরি করতে পারবে, এতে তৈরি হবে বিদেশে চাকরির বাজারের সাথে আপামর গ্রাম বাংলার অভিবাসন প্রত্যাশীদের সরাসরি সংযোগ এবং ফলাফল স্বরূপ কমবে অসাধুচক্রের উপর নির্ভরশীলতা”
আমি প্রবাসীর তিনদিন ব্যাপী এই দক্ষতা বৃদ্ধিমুলক প্রশিক্ষণ কর্মশালার মাধ্যমে উদ্যোক্তাগণ বিএমইটি রেজিস্ট্রেশন, পিডিও সার্টিফিকেট ছাড়াও ওয়ান-স্টপ ক্লিয়ারেন্স সম্পর্কে ধারনা লাভ করেন। পাশাপাশি আমি প্রবাসীর নব্য সংযোজিত ‘কন্সাল্টেন্সি’ পরিষেবা এবং ‘জব ম্যাচমেকিং’ পরিষেবা সম্পর্কে জানতে পারেন।
আমি প্রবাসী অন্তর্ভুক্ত নতুন এই পরিষেবা ‘জব ম্যাচমেকিং’-এর মাধ্যমে অভিবাসন প্রত্যাশী কর্মী সহজেই চাকরি খুঁজে নিতে পারবেন আমি প্রবাসীর সার্ভার থেকে। এছাড়া আমি প্রবাসীর কন্সালটেন্সি পরিষেবার মাধ্যমে অভিবাসন প্রার্থীর সিভি তৈরি সহ কাজ নিয়ে বিদেশ যেতে সাহায্য করা হবে। এতে বিশ্বজুড়ে তৈরি হবে নতুন কর্মক্ষেত্রের সম্ভাবনা।