israel12

নেতানিয়াহুকে আর প্রধানমন্ত্রী চায় না ইসরাইলিরা

বেশিরভাগ ইসরাইলিই আর বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় না। বদলে যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে সদ্য পদত্যাগ করা বেনি গান্তজকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় তারা। নতুন এক জরিপে এমন তথ্যই উঠে এসেছে।

ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় ৮ মাসেরও বেশি সময় ধরে হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরাইল। এ কারণে সরকার প্রধান নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা কমতে কমতে এখন তলানিতে ঠেকেছে। ইসরাইলিরা এখন তাকে আর প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেখতে চাচ্ছে না।

শুক্রবার (১৪ জুন) ইসরাইলি দৈনিক পত্রিকা মারিভের প্রকাশিত এক জরিপ অনুসারে, নেতানিয়াহুকে প্রধানমন্ত্রীর পদের জন্য উপযুক্ত মনে করেন মাত্র ৩৫ শতাংশ ইসরাইলি। অর্থাৎ ৬৫ শতাংশই তাকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চায় না।

অন্যদিকে ৪১ শতাংশ নাগরিক গান্তজের পক্ষে রায় দিয়েছেন। অর্থাৎ ৪১ শতাংশ ইসরাইলি তাকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চায়।

নেতানিয়াহুর সঙ্গে বিরোধের জের ধরেই গত রোববার (৯ জুন) নেতানিয়াহুর যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দেন বেনি গান্তজ। গত বছরের অক্টোবর থেকে পদত্যাগের আগ পর্যন্ত প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

গান্তজের পদত্যাগের পর উল্লাস প্রকাশ করেন বিরোধী নেতা ইয়াইর লাপিদ। বেনি গান্তজের এই পদত্যাগের কারণে নেতানিয়াহু যেমন বিপর্যয়ের মুখে পড়েছেন, তেমনি কঠিন যুদ্ধের মধ্যে ইসরাইল আরও অনিশ্চিত অবস্থার মধ্যে পড়েছে।

পদত্যাগের পর টেলিভিশনে দেয়া এক ভাষণে গান্তজ বলেন, নেতানিয়াহু আমাদের প্রকৃত বিজয়ের দিকে অগ্রসর হতে বাধা দিচ্ছেন। সে কারণে আমি যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে বিদায় নিচ্ছি। সেই সঙ্গে আগাম নির্বাচনের আহ্বান জানাচ্ছি।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের তারিখ ঠিক করার জন্য আমি নেতানিয়াহুকে আহ্বান জানিয়েছি। এমন একটি নির্বাচন হওয়া উচিত যা এমন কোনো সরকার প্রতিষ্ঠা করবে যারা জনগণের আস্থা অর্জন করবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে সক্ষম হবে।

গত বছর গাজার যুদ্ধ পরিস্থিতি তদারকি এবং বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। নেতানিয়াহুর আহ্বানে ওই মন্ত্রিসভায় যোগ দেন গান্তজ।

কিন্তু নানা বিষয়ে নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার বিরোধ লাগে। গত মাসেই তিনি হুমকি দেন যে, ইসরাইলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা থেকে তিনি পদত্যাগ করবেন।

বেনি গান্তজের পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায় সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে নেতানিয়াহু বলেন, বেনি, এখন এ অভিযান ছেড়ে যাওয়ার সময় নয়। এটা আমাদের বাহিনীতে যোগ দেয়ার সময়। অপরদিকে সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্টে বিরোধী নেতা ইয়ার ল্যাপিদ গান্তজের এ সিদ্ধান্তকে গুরুত্বপূর্ণ ও সঠিক বলে সমর্থন করেন।

Scroll to Top