কোরবানি ঈদের আর মাত্র তিনদিন বাকি। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানির পশুর হাট বসলেও এখনও জমে উঠেনি বেচা বিক্রি। হাটগুলোতে এখন ক্রেতার চেয়ে দর্শনার্থী বেশি। তবে বিক্রেতাদের আশা শুক্রবার থেকে বেচা বিক্রি বাড়বে।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) রাজধানীর কয়েকটি পশুর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এখানো আসছে পশু। হাটগুলোতে বিক্রির জন্য প্রস্তুত গুরু-ছাগল। কিন্তু ক্রেতার তেমন উপস্থিতি নেই।
জয়পুরহাট থেকে ২৫টি গরু নিয়ে আসা ব্যাপারী সোহরাব মিয়া বলেন, বুধবার গরু হাটে তুলেছি। এখন পর্যন্ত একটিও গরু বিক্রি হয়নি। বাজারে অনেক লোক আসছে। দামও জিজ্ঞেস করছে। তবে আশা করছি ঈদের আগেই সব গরু বিক্রি হয়ে যাবে।
গাইবান্ধা থেকে খামারি মো. আলী ৩৫ ছাগল নিয়ে এসেছে রাজধানী ঢাকায়। তিনি বলেন, আমার কাছে ৭ থেকে শুরু করে ৩৫ হাজার টাকার দামের ছাগল রয়েছে। আশা করি সবগুলো ছাগল ঈদের আগে বিক্রি হয়ে যাবে।
এদিকে বাজারে আসা দর্শনার্থী সাজ্জাদ হোসেনে বলেন, প্রতি বছরই কোরবানি ঈদ আসলে আমরা বন্ধুরা মিলে পশুর হাটে ঘুরতে আসি। সারা বছর এমন পরিবেশ থাকে না। ঈদের আগে অনেক বড় বড় গরু হাটে আসে। তাই ঘুরতে এসেছি।
তবে ইকরাম হোসেন নামে আরেক ক্রেতা বলেন, দাম কেমন দেখতে আসছি। হাটে গরুর দামও তুলনামূলক বেশি। তবে ঢাকায় গরু রাখা বেশ ঝামেলার কাজ। নানা সমস্যায় পড়তে হবে। সেজন্য ঈদের আগে কিনবো।
এদিকে হাট ঘুরে দেখা যায়, এক থেকে তিন লাখ টাকা দামের গরুর সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে ১৫০০-২৫০ কেজি ওজনের গরু ৯০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা, আর ৩৫০-৫০০ কেজির গরু ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা থেকে ৩ লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খামারে থাকা এসব গরুর চাহিদাই বেশি।
