মনে হচ্ছিল ম্যাচ জিততে শেষ চেষ্টাটা চালাবেন গ্লেন ফিলিপস। তবে শেষ পর্যন্ত সেই ব্যবধানটা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে একা হাতে খুব বেশি কিছু করারও ছিল না তার। ৩৩ বলে ৪০ রানের ইনিংস খেলে তিন কেবল নিউজিল্যান্ডের হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন। ম্যাচ জিতে সুপার এইটের শঙ্কা দূর করতে পারেননি। অন্যদিকে ১৩ রানের জয়ে গ্রুপ সি থেকে টানা তিন জয়ে প্রথম দল হিসেবে সুপার এইটে পা রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। দুই ম্যাচ শেষেও কোনা জয় পায়নি নিউজিল্যান্ড।
অথচ, এদিন ম্যাচ জয়ের সকল রাস্তাই খুলা ছিল নিউজিল্যান্ডের। টস জিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়ে চেপে ধরেছিল কিউই পেসাররা। তাদের বোলিং তোপে ৩০ রানেই অর্ধেক ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল ক্যারিবীয়দের। সেখান থেকে দারুণ ইনিংসে দলকে টেনে তুলেন শেরফেন রাদারফোর্ড। ৩৯ বলে ৬৮ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৪৯ রানের লড়াকু ভিত পাইয়ে দেন তিনি।
লড়াই করার রসদ পেয়ে যায় ক্যারিবীয় বোলাররা। বৃথা যেতে দেয়নি রাদারফোর্ডের লড়াই। দলীয় ২০ রানে প্রথম উইকেট হারানো কিউইরা ৬৩ রানে খুইয়ে ফেলে ৫ উইকেট। ম্যাচটা ওখানেই হাতছাড়া হয়ে যায় কিউইদের। এরপরও আশার প্রদীপ জ্বেলে রেখেছিলেন ফিলিপস। তবে ততক্ষণে বলের সঙ্গে রানের ব্যবধানটা এতটাই বেড়ে গিয়েছিল যে চালিয়ে খেলা ছাড়া কিছুই করার ছিল না তার।
সেই কাজটা করতে গিয়েই ৪০ রানে ফিরতে হয়েছে তাকে। এরপর নিউজিল্যান্ডের ইনিংস থেমেছে ৯ উইকেটে ১৩৬ রানে। ১৩ রানের জয় পেয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। একাই ৪ উইকেট নিয়েছেন আলজারি জোসেফ। তিন উইকেট শিকার করেছেন গুতাকেশ মতি। এই দুই বোলারের তোপেই কিউইরা ছিটকে গেছে ম্যাচ থেকে, বোধয় টুর্নামেন্ট থেকেও।
এ হারে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছে নিউজিল্যান্ডের সুপার এইটে খেলা। দুই ম্যাচ শেষে কোনো পয়েন্ট নেই তাদের। অন্যদিকে ২ ম্যাচে চার পয়েন্ট নিয়ে সুপার এইটের খুব কাছে আফগানিস্তান। আর একটি জয় পেলেই সুপার এইট নিশ্চিত হয়ে যাবে আফগানিস্তানের। আর সেটি হলে বিদায় নিশ্চিত হয়ে যাবে কিউইদের।