bisick

৪০ হাজার একর জমিতে হবে ১০০ শিল্পপার্ক: শিল্প সচিব

শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেছেন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে ৪০ হাজার একর জমিতে ১০০টি পরিবেশবান্ধব শিল্পপার্ক স্থাপনের মহাপরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

সোমবার (১০ জুন) বিসিক আয়োজিত ‘উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় রূপকল্প-২০৪১ বাস্তবায়নে বিসিকের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও ‘কারুশিল্পী পুরস্কার ১৪৩০’ প্রদান অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

জাকিয়া বলেন, মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সালের মধ্যে ২ কোটি লোকের কর্মসংস্থান হবে এবং রফতানি আয় ৪০০ হতে ৫০০ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করা সম্ভব হবে।

শিল্প সচিব জানান, ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বিসিকের ৮২টি শিল্পনগরীতে ৫৯৮৫টি শিল্প স্থাপনা গড়ে তোলা হয়েছে। বিসিকের চামড়া শিল্পনগরীতে ১৬৩টি ট্যানারি শিল্প ইউনিটের অনুকূলে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২০৫টি শিল্পপ্লট। এছাড়া চামড়া শিল্পনগরীতে কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার (সিইটিপি) চালু করা হয়েছে। দেশের সিংহভাগ ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানও বিসিক শিল্পনগরীগুলোতে অবস্থিত। এছাড়া ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদনের লক্ষ্যে বিসিকের সহায়তায় মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় দেশের প্রথম বিশেষায়িত অ্যাকটিভ ফার্মাসিউটিক্যালস ইনগ্রেডিয়েন্টস (এপিআই) শিল্পপার্ক নির্মিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

বিসিকের চেয়ারম্যান সঞ্জয় কুমার ভৌমিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর এবং ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মুখ্য উপদেষ্টা ও প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য ড. মোহাম্মদ ফরাসউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের সদস্য মো. হাফিজুর রহমান এবং জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত।

উন্মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন এফবিসিসিআইয়ের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. আমিন হেলালী ও সুইজারল্যান্ডের জেনেভাস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর মো. সেলিম হোসেন। ‘কারুশিল্পী ১৪৩০ পুরস্কার’ প্রাপ্তদের মধ্য থেকে অনুভূতি জানান ‘কারুরত্ন’ গোপেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী ও ‘কারুগৌরব’ বীথিকা জোদ্দার।ৎ

উল্লেখ্য, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের কারুশিল্পীদের উদ্ভাবিত শিল্পপণ্য জনসাধারণের মধ্যে প্রচার এবং নান্দনিক কারুপণ্য উদ্ভাবন ও উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে ‘বিসিক নকশা কেন্দ্র’ ১৯৮২ সাল থেকে ‘কারুশিল্পী পুরস্কার’ দেয়া শুরু করে। এ ধারাবাহিকতায় এ বছর ১০টি বিষয়ে ১০ জন কারুশিল্পীকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে একজন শ্রেষ্ঠ কারুশিল্পীকে ‘কারুরত্ন’ পুরস্কার এবং অন্য ৯ জন কারুশিল্পীকে ‘কারুগৌরব’ পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছে।

Scroll to Top