এমপি আনার খুনে অভিযুক্ত সিয়াম কে নিয়ে তল্লাশি অভিযানের শুরুতেই মিলল সাফল্য। কলকাতার বাগজলা খালে সিয়ামের দেখিয়ে দেওয়া স্থানেই মিলল একাধিক হাড়গোড়। রোববার (৯ জুন) সকাল আটটার থেকেই শুরু হয় তল্লাশি। এর আগে ১৬ দিনের বেশি তল্লাশি চালিয়েও কিছুই উদ্ধার করা না গেলেও আজ অভিযান শুরুর মাত্র ৩০ মিনিটের মধ্যেই উদ্ধার হয় হাড়গোড়।
আদালতের রায়ে শনিবার সিয়ামকে ১৪ দিনের হেফাজতে পায় সিআইডি। আজ সকাল থেকেই সিয়ামকে সঙ্গে নিয়ে ভাঙ্গরের সাতুলিয়া এলাকার বাগজোলা খালে তল্লাশি অভিযানে নামে কলকাতা পুলিশের ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট গ্রুপ এবং ভারতীয় নৌ-সেনা।
অভিযানের শুরুতেই সিয়ামের দেখিয়ে দেওয়া স্থানে তল্লাশি শুরু করে বাহিনী। এর আগে সিআইডির হাতে গ্রেপ্তার হওয়া জিহাদ দেহাংশ ফেলে দেওয়ার যে স্থান বলেছিল আজ সিয়াম সেই স্থানের পরিবর্তে ভিন্ন স্থান দেখায়। আর সেখানে তল্লাশি চালাতেই মেলে সাফল্য। উদ্ধার হয় একাধিক হাড়গোড়।
প্রাথমিকভাবে দেখে সেগুলো মানুষের হাড়ই মনে হয়েছে। ধৃত সিয়ামের দাবি এগুলো বাংলাদেশের এমপি আনারের শরীরের দেহাংশ। যদিও সিআইডির তরফে জানানো হয়েছে এমপির দেহাংশ কিনা জানার জন্য হাড়গোড় গুলি ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে।