মোবাইল ফোন হারিয়ে গেলে ভুক্তভোগীকে জিডি না করে সরাসরি চুরির মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
বুধবার (৫ জুন) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে ধর্মমন্ত্রীর চুরি হওয়া মোবাইল উদ্ধার সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘অনেকে মোবাইল চুরি হলে জিডি পর্যন্ত করতে চান না। তাদের প্রতি আমাদের অনুরোধ– মোবাইল চুরির হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে একটি মামলা করবেন। মামলা ছাড়াও মোবাইল চুরি রোধে মোবাইলে স্ট্রং পাসওয়ার্ড এবং নামাজ ও জানাজায় গেলে পাঞ্জাবির পকেটে মোবাইল ফোন রাখবেন না। কেউ জানাজা বা নামাজে দাঁড়ালে চোরেরা সুযোগ পেয়ে মোবাইল নিয়ে যায়।’
তিনি বলেন, অনুমোদিত বিক্রয়কেন্দ্র ছাড়া কোনো স্থান বা ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল ফোন না কেনা, পুরানো মোবাইল ফোন না কেনা, চিকিৎসা করার টাকা নাই তাই রাস্তায় দাঁড়িয়ে মোবাইল বিক্রি করতে চাওয়া ব্যক্তির কাছ থেকে মোবাইল না কেনা এবং মোবাইলের পূর্ণাঙ্গ তথ্য সংবলিত রসিদ ছাড়া মোবাইল ফোন কিনবেন না।
চোরাই মোবাইল ফোন কেনাবেচা দুটোই অপরাধ। চোরাই মোবাইল ফোন যার কাছে পাওয়া যাবে, তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান ডিবিপ্রধান।
হারুন অর রশিদ বলেন, ধর্মমন্ত্রীর চুরি যাওয়া আইফোন উদ্ধারসহ আন্তঃজেলা মোবাইল চোর চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ডিবি সাইবার উত্তর বিভাগ।
মালয়েশিয়া থেকে ধর্মমন্ত্রীর ফোন উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, মন্ত্রী, আমলা, ভিআইপিদের টার্গেট করে দামি মোবাইলগুলো চুরি করে চক্রটি। পরে তারা ফোনগুলো চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন মার্কেটে পাঠিয়ে দেয়। সেখান থেকে দেশের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।
চট্টগ্রামের রিয়াজুদ্দিন মার্কেট চোরদের হোলসেল মার্কেট। ৮০টি চোর চক্র এ বছর আনুমানিক ১০ হাজার মোবাইল ফোন চুরি করেছে বলে জানান তিনি।