বিশ্বের ভয়ংকর রোগের মধ্যে ‘ডায়াবেটিস’ অন্যতম। চট্রগ্রামের বাসিন্দা আব্দুস সবুর দীর্ঘদিন ধরে ডায়াবেটিস রোগের সমস্যায় ভুগছিলেন। রক্তে থাকা গ্লুকোজের মাত্রা ২২-২৩ থাকার সঙ্গে প্রচন্ড হাঁটু ব্যথায় হাঁটতে না পারা ও শারীরিক দুর্বলতা ছিল তার প্রতিদিনের সমস্যা।
২০২৩ সালের আগস্টে সর্বপ্রথম তিনি ই ডব্লিউ ভিলা মেডিকাতে আসলে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে দেওয়া হয় রিজেনারেটিভ ট্রিটমেন্ট ও সমস্যা বুঝে অর্গান স্পেসিফিক অত্যাধুনিক স্টেমসেল ট্রিটমেন্ট।
চিকিৎসার কয়েক মাসের মধ্যেই ইনসুলিনের নির্ভরতা ছাড়াই তার রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা অর্থাৎ ডায়াবেটিস ২২-২৩ থেকে কমে ৬.৩ মাত্রায় চলে আসে। হাঁটু ব্যথার কারণে যেই মানুষটি আগে ঠিকমতো দাঁড়াতে পারতেন না, সেই মানুষ এখন নিজে পায়ে হেঁটে এসে ডাক্তারের সঙ্গে কনসালটেন্ট করতে যান। তা ছাড়া স্টেমসেল ট্রিটমেন্টের ফলে তার সার্বিক দুর্বলতা এখন অনেকটাই নিয়ন্ত্রিত। কয়েক মাসের ব্যবধানে এমন সফলতার কথা বলছে ই ডব্লিউ ভিলা মেডিকা।
মানবঘাতী সব ক্রনিক ডিজিজের (যেমন ডায়াবেটিস, কিডনি বিকলতা ,লিভার সিরোসিস, স্ট্রোক) মত ভয়াবহ সব রোগে উন্নত মানের এসব স্টেমসেল ব্যবহারের ফলে ডায়াবেটিসের রোগীদের ইনসুলিন নির্ভরতা কমে যাচ্ছে। কিডনি রোগীদের কমে যাচ্ছে ডায়ালাইসিস নির্ভরতা,হাঁটু ও অন্যান্য জয়েন্ট ব্যথার রোগীদের কমে যাচ্ছে অপারেশনের প্রয়োজনীয়তা।
বাংলাদেশের প্রথম ইউরোপিয়ান ওয়েলনেস চিকিৎসা সেবা প্রতিষ্ঠান ইডব্লিউ ভিলা মেডিকার যাত্রা শুরু ২০১৯ সালে। সারাবিশ্বে ৩৬টি শাখার মধে ২১তম জার্মান শাখার অন্যতম প্রিমিয়াম সেন্টার।
ইডব্লিউ ভিলা মেডিকা সেবাকেন্দ্রে তাদের স্টেমসেল প্রস্তুত করছে। নিজস্ব আরেকটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান টোটিসেলের বিশ্বমানের (cGMP) ল্যাবে। যা বাংলাদেশের একমাত্র স্টেমসেল ল্যাব। স্টেমসেল তৈরি বাংলাদেশকে নিয়ে গেছে অনন্য উচ্চতায়। টোটিসেলের নিজস্ব ল্যাবে তৈরি স্টেমসেল বাংলাদেশ ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদিত। টোটিসেল থেকে তৈরি উন্নত মানের সব স্টেমসেলই ব্যবহার করে আসছে ই ডব্লিউ ভিলা মেডিকা।
বাংলাদেশের মানুষের অতি পরিচিত রোগের নাম ‘হাঁটু ব্যথা’। বয়স বাড়ার সঙ্গে রোগটি আরও বেশি ভয়ংকর রূপ ধারণ করে। যে রোগের ভয়াবহতার হাত থেকে রক্ষা পায়নি আখলাক সাহেব। ডাক্তার তাকে হাঁটু প্রতিস্থাপনের পরামর্শ দিলে তিনি ই ডব্লিউ ভিলা মেডিকার স্টেমসেল চিকিৎসার মাধ্যমে দ্রুতই হাঁটু ব্যথা থেকে অপারেশন ছাড়াই আরোগ্য লাভ করে।
দুরারোগ্য রোগের চিকিৎসায় সাফল্যে পৌঁছে গেছে সেবা প্রতিষ্ঠানটি। বিদেশে যাওয়ার ঝামেলা ছাড়া এখন দেশেই পাওয়া যাচ্ছে জটিল ও নিরাময়যোগ্য রোগের উন্নত চিকিৎসা। বিদেশে যাওয়ার সময়, ব্যয়, ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াও দেশের অর্থ থাকছে দেশেই। নিজস্ব অত্যাধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি ও দক্ষতায় অন্যতম চিকিৎসাসেবা প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠেছে ই ডব্লিউ ভিলা মেডিকা।