তৃতীয় মেয়াদে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শনিবার (৮ জুন) শপথ নেবেন নরেন্দ্র মোদি। এর মধ্যদিয়ে কংগ্রেস নেতা জওহরলাল নেহরুর পর টানা তৃতীয়বার দেশটির প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন তিনি। এরইমধ্যে দিল্লির রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রেসিডেন্ট দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন মোদি।
ভারতের নির্বাচন কমিশনের ফলাফলে দেখা গেছে, এবারের নির্বাচনে মোদির ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি) এককভাবে ২৪০টি আসন পেয়েছে। ২০১৪ সালে দলটি পেয়েছিল ২৮২টি আসন এবং ২০১৯ সালে ৩০৩ টি আসন জিতেছিল মোদির দল।
সংবিধান অনুযায়ী ভারতে সরকার গঠনের জন্য কোন দলকে ২৭২ টি আসনে জিততে হয়। এক্ষেত্রে মোদির দল এককভাবে সরকার গঠন করতে পারছে না। সরকার গঠনের জন্য জোটের ওপর নির্ভর করতে হবে মোদিকে।
এবারের লোকসভা নির্বাচনে মোদি উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে তার আসন ধরে রেখেছেন। কংগ্রেসের অজয় রাইকে দেড় লাখের একটু কম ভোটে পরাজিত করে মন্দিরের শহর বারাণসীর তিনবারের সংসদ সদস্য হিসেবে নিজের জায়গা ধরে রাখলেন মোদি।
গত সন্ধ্যায় বিজেপির নেতৃত্বাধীন এনডিএ জোট আবারও ভারতের সরকার গঠন করতে যাচ্ছে বলে নিশ্চিত করেন নরেন্দ্র মোদি। এই ফলাফলকে তিনি বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের দেশ ভারতের বিজয় বলে অভিহিত করেন। বুধবার সকালে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বৈঠকে পরবর্তী সরকার গঠনের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
এদিকে, মঙ্গলবার (৪ জুন) গভীর রাতে বিজেপির দিল্লি সদর দফতরে ভক্ত-সমর্থকদের উদ্দেশে বক্তৃতা দেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, ‘ভারতের জনগণ তৃতীয়বারের জন্য এনডিএ জোটের প্রতি তাদের বিশ্বাস রেখেছে। আমি এই বিশ্বাসের জন্য তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি এবং তাদের এই বিশ্বাসের প্রতি মর্যাদা রাখতে ভালো কাজগুলো চালিয়ে যেতে চাই।’
এবারের নির্বাচনে বিজেপি এককভাবে ৩৭০টি আসন এবং জোটগতভাবে ৪০০টি আসন পাওয়ার লক্ষ্য নিধারণ করেছিল। অনেকে একে উচ্চাভিলাষী বলে সমালোচনা করেছেন।
অন্যদিকে বিরোধী দল কংগ্রেস এককভাবে পেয়েছে ৯৯টি আসন। কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ‘ইন্ডিয়া’ জোট পেয়েছে ২৩৩ আসন। গত ১৯ এপ্রিল বিশ্বের বৃহত্তম গণতন্ত্রের এই দেশটিতে সাত দফা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়। শেষ হয় ১ জুন। ফলাফল ঘোষণা করা হয় ৪ জুন মঙ্গলবার।