পৃথিবী একটি গ্রহ। যে গ্রহটিতে মানুষ বাস করে। তবে এই গ্রহ নিয়ে রহস্যের কোনো শেষ নেই। পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে যা নিয়ে মানুষের জানার আগ্রহ অনেক। কিন্তু এসব জায়গার উৎপত্তি নিয়ে আজও কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। জানা যায়নি এর রহস্যের কথা। এমন কিছু রহস্যময় জায়গা নিয়ে আজকের আয়োজন।
মগুইচেং, চীন:
মগুইচেং চীনের জিনঝিয়াং মরুভূমিতে অবস্থিত। এর অর্থ দাড়ায় শয়তানের শহর। এখানের বসবাসকারীরা অদ্ভুত সব ঘটনা দেখেছেন বলে দাবি করেন। এছাড়া পর্যটকরা এখানে বাতাসে দূর থেকে বিভিন্ন আজব আজব সুর ভেসে আসতে শুনেছেন। তবে এই শব্দের উৎস কেউই এখনো খুঁজে পাননি।
কানো ক্রিসটেলস, কলোম্বিয়া:
কানো ক্রিসটেলস মূলত একটি নদী। এটি কলোম্বিয়ায় অবস্থিত। তবে এটি সাধারণ কোনো নদী নয়। বলা হয় বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর নদী এটি। বছরের অধিকাংশ সময় এটা সাধারণ নদীর মতোই থাকে, তবে খুব অল্প সময়ের জন্য এর রূপ বদলে যায়। মূলত সেপ্টেম্বর এবং নভেম্বরের মাঝামাঝি সময় এমনটি হয়। এ সময় নদীর পানিতে রঙের খেলা দেখা যায়। লাল, নীল, গোলাপি, সবুজ এবং হলুদ রঙের এর অপূর্ব সমন্বয় ভেসে উঠে।
অওকিগাহারা, জাপান:
অওকিগাহারা হচ্ছে জাপানের ফুজি পর্বতমালার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত ৩৫ বর্গ কিলোমিটারের একটি জঙ্গল। এটি সি অব ট্রিজ অথবা গাছের সমুদ্র নামেও পরিচিত। এখানে কোনো প্রাণের অস্তিত্ব না থাকাতে সব সময় সুনসান নীরব থাকে। তাই এ বনটি পর্যটকদের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।
জাপানি পুরাণ মতে, এ বনে প্রেতাত্মারা ঘুরে বেরায় এবং এটি আত্মহত্যা করার জায়গা হিসেবে বিবেচিত।
রিচাট স্ট্রাকচার, মৌরিতানিয়া:
রিচাট স্ট্রাকচার যা সাহারার চোখ নামেও পরিচিত। এটি সাহারা মরুভূমিতে প্রায় ত্রিশ মাইল এলাকা জুড়ে বিস্তৃত। যা মহাকাশ থেকেও দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা দাবি করেন, এটা হয়তো অগ্নুৎপাত এর ফলে তৈরি হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত এটা নিয়ে রহস্য রয়েই যায়।
ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালি, অ্যান্টার্কটিকা:
ম্যাকমার্ডো ড্রাই ভ্যালিকে পৃথিবীর সব থেকে গোপনীয় জায়গা হিসেবে মনে করা হয়। এটা সম্ভবত পৃথিবীর সব থেকে শুষ্ক জায়গা। কিছু শৈবাল ও মস জাতীয় উদ্ভিদ ছাড়া আর কোনো উদ্ভিদ জন্মায় না এখানে। বিজ্ঞানীরা এটার আবহাওয়াকে মঙ্গল গ্রহের আবহাওয়ার সঙ্গে তুলনা করেন।