ময়মনসিংহ সদরের মনতলা ব্রিজের নিচে লাগেজ থেকে উদ্ধার হওয়া খণ্ডিত মরদেহের পরিচয় মিললেও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিয়ে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে। নিহত যুবক সৌরভ রাজধানীর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইইউবিএটি’র শিক্ষার্থী বলে পুলিশ জানালেও স্থানীয় ইউপি সদস্যের দাবি, তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিলেন।
নিহত সৌরভ তারাটি গ্রামের মো. ইউসুফের ছেলে। তার বাবা ডাক বিভাগের কর্মচারী। বাবা-মা ও এক বোনসহ তারা ঢাকায় বসবাস করতেন। রোববার (২ জুন) রাতে স্থানীয় ইউপি সদস্য রোবহান উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘সৌরভ পরিবারের সঙ্গে ঢাকায় বসবাস করেন। তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএতে লেখাপড়া করতেন বলে খোঁজ নিয়ে জেনেছি। তাদের কেউ গ্রামে থাকেন না। এরমধ্যে সৌরভের বাবা ঢাকায় এবং এক চাচা মো. ইলিয়াস ময়মনসিংহ শহরে বসবাস করেন। তারা এলাকায় তেমন একটা আসেনও না। তবে কেন বা কী কারণে ছেলেটা খুন হয়েছে, তা এলাকার কেউ জানেন না।’
এ বিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা জানান, পরিচয় শনাক্তের পর হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। আশা করছি শিগগিরই আসামিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।
এর আগে, সকালে ময়মনসিংহ-মুক্তাগাছা সড়কে মনতলা ব্রিজের নিচে গরু চড়াতে গিয়ে সুতিয়া খালে একটি লাগেজ ও পাশে বিচ্ছিন্ন মস্তক দেখে আঁতকে ওঠেন স্থানীয় কয়েকজন। তাদের চিৎকারে এগিয়ে আসেন আশপাশের লোকজন। ঘটনা মুহূর্তেই চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতির রূপ নেয়। ঘটনাস্থলে ভিড় করেন শত শত মানুষ।
থানায় জানানো হলে পুলিশ এসে লাগেজ খুলতেই বেরিয়ে আসে মস্তকবিহীন মরদেহ। খালের পাশেই মাটির ওপর থেকে উদ্ধার করা হয় পলিথিনে মোড়ানো ওই যুবকের মাথা। পলিথিনে মোড়ানো মাথার সঙ্গে ছিল বিছানার চাদর ও রক্তাক্ত বালিশ।