ফিলিস্তিন রাষ্ট্র না থাকলে ইসরাইলেরও অস্তিত্ব থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান। একইসঙ্গে ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার বিষয়টিও পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দিতে সমন্বিত উদ্যোগ নিয়ে রোববার ব্রাসেলসে বৈঠকের আয়োজন করে সৌদি আরব ও নরওয়ে।সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, বৈঠকে গাজায় যুদ্ধের অবসান এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধান বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জরুরি প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এতে আলজেরিয়া, অস্ট্রিয়া, বাহরাইন, বেলজিয়াম, ডেনমার্ক, মিশর, জার্মানি, ইন্দোনেশিয়া, আয়ারল্যান্ড, জর্ডান, লাটভিয়া, পর্তুগাল, কাতার, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, ফিলিস্তিন, সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য এবং ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার মন্ত্রী ও প্রতিনিধিরা অংশ নেন।
গত ২৯ এপ্রিল আরব ও ইউরোপের মন্ত্রীদের জন্য রিয়াদে যে বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল, এই বৈঠক তারই ধারাবাহিকতা বলে দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে।
সম্মেলনে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো, বন্দী ও জিম্মিদের মুক্তি, গাজা উপত্যকায় যুদ্ধের অবসান এবং রাফাহ ক্রসিং নিয়ন্ত্রণ এবং বিপর্যয়কর মানবিক সংকট মোকাবেলাসহ অধিকৃত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে সব অবৈধ একতরফা ব্যবস্থা ও লঙ্ঘনের লক্ষ্যে প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন প্রকাশ করা হয়।
দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের প্রেক্ষাপটে ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার দিকে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ এবং ইসরাইল-ফিলিস্তিনি সংঘাতের টেকসই সমাধানকে সমর্থন করে এমন একটি রাজনৈতিক পথ গ্রহণ করাও আলোচনার বিষয় ছিল।
সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন-ফারহান বলেন, ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার মাধ্যমেই নিরাপত্তা পাবে ইসরাইল। তাই আমরা আন্তরিকভাবে আশা করি, ইসরাইলের নেতারা বুঝতে পারবেন যে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিলে কাজ করাটা তাদের স্বার্থেই ভালো। আর সেটি শুধুমাত্র ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষকে শক্তিশালী করাই নয় বরং ১৯৬৭ সালের সীমানা অনুযায়ী একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।
তিনি আরও বলেন, দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমে তারা যে নিরাপত্তা চায় সেটি ইসরাইল স্বীকার করে না এবং এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।
এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি না দেওয়া পর্যন্ত তারা ইসরাইলের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক স্থাপন করবে না বলে জানিয়ে দেয় সৌদি আরব।