নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলায় ওমর ফারুক পাটোয়ারী নামে এক ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে আহত করার অভিযোগে আহাদ আহমেদ হাম্বা নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে স্থানীয়রা। রোববার (২৬ মে) ভোর রাতের দিকে উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আহাদ আহমেদ ওরফে হাম্বা (২০) উপজেলার নোয়াখলা ইউনিয়নের ১নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম নোয়াখলা গ্রামের আকবর পাটোয়ারি বাড়ির বাবর হোসেনের ছেলে। আহত ওমর ফারুক পাটোয়ারী ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শক্রতার জের ধরে হাম্বা ভোর রাতের দিকে ইউপি সদস্য ওমর ফারুক পাটোয়ারীর ভাড়া বাসায় ঢুকে তাকে কুপিয়ে জখম করে। পরে ইউপি সদস্যকে দ্রুত উদ্ধার করে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। এক পর্যায়ে ইউপি সদস্যের অনুসারী ও স্থানীয়রা ক্ষিপ্ত হয়ে অভিযুক্ত আহাদ আহমেদ হাম্বার বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায় এবং তাকে নিজ বাড়িতে পিটিয়ে আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।
এ বিষয়ে নোয়াখলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মো. মানিক বলেন, হাম্বা আগে থেকেই মাদকাসক্ত ও বেপরোয়া ছিল। রোববার ভোর রাতের দিকে সে মেম্বারের ঘরের দরজায় হাত দিয়ে টোকা দেয়। এরপর মেম্বার ফারুক দরজা খুলতেই তাকে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। খবর পেয়ে এলাকাবাসী হাম্বার বাড়িতে গেলে সেখানে সে ছালেহ আহমদ নামে আরও এক ব্যক্তিকে জখম করে।
পরবর্তীতে স্থানীয় লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে হাম্বাকে পিটুনি দেয়। এতে সে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। আহত মেম্বারকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমদাদুল হক বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ উভয় ঘটনা খতিয়ে দেখছে এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান ওসি।