একাদশ জাতীয় এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে স্বর্ণ জিতেছেন শায়েরা আরেফিন। এই পদক অলিম্পিকে ভালো করতে অনুপ্রেরণা যোগাবে বলে বিশ্বাস তার।
একঝাঁক তরুণ শুটারের স্বপ্ন শুধু দেশের মাটিতে পদক জেতা নয়, আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিজেদের নাম উজ্জ্বল করা। বড় স্বপ্ন নিয়েই তারা অংশগ্রহণ করেন একাদশ জাতীয় এয়ারগান চ্যাম্পিয়নশিপে। কারণ এই টুর্নামেন্টে ভালো করলেই নিশ্চিত হবে ফেডারেশন ট্রেনিং ক্যাম্পে যুক্ত হওয়ার টিকিট।
টুর্নামেন্টে চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা উদ্যাপনে মাতে বাংলাদেশ আর্মি শুটিং এসোসিয়েশন, রানার্সআপ হয় নেভি শুটিং ক্লাব। তবে এদিন সবার বিশেষ নজর ছিল অলিম্পিকে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করতে চলা শায়েরা আরেফিনের ওপর। টুর্নামেন্টে ১০ মিটার এয়ার রাইফেল নারী ক্যাটাগরিতে স্বর্ণ জিতেছেন তিনি।
শায়েরা বলেন, ‘এই জিনিসটা অনেক বেশি হেল্প করবে। এখানের ফাইনাল, ফাইনালে তো হৈ-হুল্লোর থাকেই। সে হিসেবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এতটা নেই, তাই ওইখানে ফাইনালে উঠলে ভালো করতে পারব। কিছুটা প্রাকটিসের অভাব হয়তো আছে।’
এবারের জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপ থেকে উঠে এসেছে বেশ কিছু প্রতিভাবান শুটার। তাদের আরও ভালোভাবে তৈরি করতে ভবিষ্যতে বিশেষ ট্রেনিং ক্যাম্পের আওতায় আনা হবে বলে জানান শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের মহাসচিব ইন্তেখাবুল হামিদ অপু।
ইন্তেখাবুল বলেন, ‘প্রত্যেকটা গেমস থেকে আমরা প্লেয়ারদের বাছাই করি, নতুন মুখ সন্ধান করি। এখানে জুনিয়র যারা আসছে, আমরা চাই তাদের বাছাই করতে। জুনিয়ররা যারা ভালো করছে, আমরা স্কোরের দিকে মনযোগী হই। যারা স্কোর ভালো করে তাদের আমরা পিক করতে চাই।’
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মারি মাসদুপে। শুটিং ফেডারেশনকে যেকোনো সাহায্যে ফ্রান্স সবসময় পাশে আছে বলে আশ্বাস দেন তিনি। মাসদুপে বলেন, ‘আমরা ফেডারেশনের সঙ্গে কাজ করতে পেরে ও এখানে আসতে পেরে অনেক খুশি। এ ফেডারেশন খুব প্রতিশ্রুতিশীল বলে আমি মনে করি। তোমাদের ফেডারেশন ও আমাদের দেশের ফেডারেশন একসঙ্গে কাজ করতে পারে। আমি এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলব।’