নতুন কারিকুলামে সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ে মানুষে মানুষে সাদৃশ্য ও ভিন্নতা অধ্যায়ে ‘শরীফ থেকে শরীফা’র গল্পটি বাদ দেয়ার সুপারিশ করেছে বিশেষজ্ঞ কমিটি।
কমিটির সূত্রে জানা গেছে, গল্পে ব্যবহৃত অন্তত ১৯টি শব্দ সমাজব্যবস্থার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয় বলে মত দিয়েছে কমিটি। চলতি মাসের শুরুতে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া হয়েছে। এখন মন্ত্রণালয় পরবর্তী সিদ্ধান্ত দেবে।
নতুন শিক্ষাক্রমের আলোকে প্রণীত সপ্তম শ্রেণির ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বইয়ের একটি অধ্যায়ে হিজড়া জনগোষ্ঠী সম্পর্কে জনসচেতনতামূলক একটি গল্প নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
একটি শিক্ষা সেমিনারে পাঠ্যবইয়ে ট্রান্সজেন্ডারের গল্প ঢুকিয়ে শিক্ষার্থীদের মগজধোলাইয়ের অভিযোগ তুলে গল্পের দুটি পাতা ছিঁড়ে বিষয়টি নতুন করে সামনে আনেন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের খণ্ডকালীন শিক্ষক আসিফ মাহতাব।
পরে গল্পটি পর্যালোচনা করতে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। পাঁচ সদস্যের ওই কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আবদুর রশীদ।
পাঁচ সদস্যের এই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন: ইসলামিক ফাউন্ডেশনের গভর্নর মুফতি মাওলানা কফিল উদ্দীন সরকার, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (এনসিটিবি) সদস্য অধ্যাপক মো. মশিউজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) পরিচালক অধ্যাপক আবদুল হালিম এবং ঢাকা আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ অধ্যাপক মোহাম্মদ আব্দুর রশিদ।