ম্যানচেস্টার সিটির কাছে গতকাল রাতে টটেনহাম হটস্পারের হারে চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলার টিকিট পেয়েছে অ্যাস্টন ভিলা।
৩৭ ম্যাচে ৬৩ পয়েন্ট নিয়ে পাঁচে অ্যাঞ্জে পোস্তেকোগলুর দল।
সমান ম্যাচে ৬৮ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ ভিলা। দুই দলই আর একটি করে ম্যাচ খেলবে। ভিলাকে টপকে চারে উঠে আসার সুযোগ ছিল শুধু টটেনহামেরই। কিন্তু কাল রাতে হারের পর এখন নিজেদের শেষ ম্যাচ জিতলেও ৫ পয়েন্টের ব্যবধান ঘুচিয়ে ভিলাকে টপকে চারে উঠে আসতে পারবে না টটেনহাম।
১৯৮২-৮৩ মৌসুমের পর এই প্রথম ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পেল ভিলা। তার আগের মৌসুমে (৮১-৮২) ইউরোপিয়ান কাপ জিতেছিল দলটি। ১৯৯১-৯২ মৌসুম থেকে এই প্রতিযোগিতাই চ্যাম্পিয়নস লিগ নামে শুরু হয়। সে হিসাবে চ্যাম্পিয়নস লিগে এবারই প্রথম খেলার সুযোগ পেল ভিলা।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘এক্স’-এ একটি ভিডিও পোস্ট করেছে ভিলা। সেখানে দেখা যায়, সিটির জয়ের পর ভিলা পার্কে বার্ষিক অ্যাওয়ার্ডস নাইটে ভিলার কোচ উনাই এমেরি তাঁর খেলোয়াড়দের নিয়ে উদ্যাপন করছেন।
গত মৌসুমে ইউরোপে তৃতীয় সারির টুর্নামেন্ট কনফারেন্স লিগে খেলেছে ভিলা। সেমিফাইনালে হেরেছে গ্রিসের অলিম্পিকায়োসের কাছে। ইউরোপে শীর্ষ ক্লাব টুর্নামেন্টে নিজেদের সর্বশেষ মৌসুমে (৮২-৮৩) কোয়ার্টার ফাইনালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে হেরে বাদ পড়েছিল ভিলা।
ইংল্যান্ডের শীর্ষ ফুটবল লিগের নামকরণ প্রিমিয়ার লিগ করা হয় ১৯৯২-৯৩ মৌসুম থেকে। সেবার এবং ১৯৯৫-৯৬ মৌসুমে লিগ টেবিলে যথাক্রমে দ্বিতীয় ও চতুর্থ হয়েছিল ভিলা। তবু চ্যাম্পিয়নস লিগে সুযোগ মেলেনি। কারণ এ দুই মৌসুমেই লিগ টেবিলে শুধু শীর্ষ দল ইউরোপের শীর্ষ এই ক্লাব প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পেয়েছে।
চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নেওয়ার পর ভিলা কোচ এমেরি বলেছেন, ‘দিনটা বিশেষ। এখানে (চ্যাম্পিয়নস লিগ) পৌঁছাতে আমরা মৌসুমটা শুরু করেছিলাম। চোট থাকলেও আমরা মনোযোগ ধরে রাখতে পেরেছি। চ্যাম্পিয়নস লিগে খেলতে পারাটা সেরা একটি ব্যাপার। কেউ-ই আশা করেনি আমরা এখানে আসতে পারব।’