চিটাগাং হিল ট্র্যাক্টস রেগুলেশন বা ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) ডাকে রাঙামাটিতে আধাবেলা সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে অবরোধ চলবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত।
ভোর ৫ট থেকে জেলায় অবরোধ সমর্থনকারীরা রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি সড়কের সাপছড়ি, কতুকছড়ি, ঘিলাছড়ি, নানিয়ারচরসহ বিভিন্ন স্থানে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে অবরোধ করে। এতে ওই সড়কে সকল ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
এছাড়া রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বেতবুনিয়া এলাকায়, বাঘাইছড়ি উপজেলার সাজেক-বাঘেইহাট-দীঘিনালা সড়কের অবরোধ সমর্থনকারীরা অবরোধ পালন করছে বলে জানা গেছে। তবে রাঙামাটি শহরে অবরোধের প্রভাব পড়েনি। যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। অবরোধ চলাকালে কোথাও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
অবরোধ সমর্থনকারী বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) জেলা শাখার সভাপতি তুনময় চাকমা জানান, ১৯০০ সালের পার্বত্য চট্টগ্রাম শাসনবিধি বাতিলসহ রাজা-হেডম্যান-কার্বারি পদবি বিলোপ ও পাহাড়িদের প্রথাগত অধিকার হরণের ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে রাঙামাটিতে শান্তিপূর্ণভাবে সড়ক ও নৌপথ অবরোধ চলছে। তাদের নেতাকর্মীরা সড়কের বিভিন্ন স্থানে পিকেটিং করছে।
জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) শাহেনেওয়াজ রাজু জানান, রাঙামাটিতে কয়েকটি এলাকায় অবরোধ সমর্থনকারীরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তবে পুলিশ তাদের সরিয়ে দিয়েছে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে। অবরোধে কোথাও কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।