ইউক্রেনের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা আসছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল মঙ্গলবার কিয়েভ সফরে এসে এ কথা বলেন। ইউক্রেনের উত্তর–পূর্বের খারকিভ অঞ্চলে রাশিয়ার হামলা জোরদার হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে কিয়েভ সফর করছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কয়েক মাসের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের পর মার্কিন কংগ্রেস সম্প্রতি ইউক্রেনের জন্য সামরিক সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। এর কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ব্লিঙ্কেন ইউক্রেনে এলেন। রুশ হামলার মুখে কোণঠাসা ইউক্রেনের সেনাদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের এ সহায়তা প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাতের সময় ব্লিঙ্কেন বলেন, নিকটতম সময়ে সামরিক সহায়তা কিয়েভের পথে রয়েছে। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে এ সহায়তা বাস্তব পার্থক্য তৈরি করতে সক্ষম হবে।
পোল্যান্ড থেকে সোমবার দিবাগত রাতে ট্রেনে করে কিয়েভে এসে পৌঁছান ব্লিঙ্কেন। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা শুরুর পর এটা ব্লিঙ্কেনের চতুর্থ কিয়েভ সফর।
মার্কিন সামরিক সহায়তার জন্য জেলেনস্কির পক্ষ থেকে ওয়াশিংটনকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলা হয়, ‘এ সহায়তা প্যাকেজ পাঠানোর সিদ্ধান্ত আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
জেলেনস্কি বলেন, ইউক্রেনের জন্য বড় দুর্বলতা ছিল আকাশ প্রতিরক্ষাব্যবস্থা। তিনি খারকিভ অঞ্চলের জন্য দুটি প্যাট্রিয়ট প্রতিরক্ষাব্যবস্থা চান। বর্তমানে খারকিভে রুশ বাহিনী ব্যাপক আক্রমণ চালাচ্ছে।
সেখানকার সীমান্তের গ্রামগুলোর নিয়ন্ত্রণ ইতিমধ্যে রুশ বাহিনীর হাতে চলে গেছে। কিয়েভকে বাধ্য হয়ে নতুন করে সেখানে সেনা পাঠাতে হয়েছে। ইউক্রেনের সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে স্বীকার করে বলা হয়েছে, রুশ সেনারা কৌশলগত সফলতা পেয়েছেন।