কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিন বাক্কা হত্যা মামলায় নয় জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। রায়ে আরও নয় জনকে যাবজ্জীবন ও পাঁচ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে কুমিল্লার চতুর্থ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন বলে ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী জাকির হোসেন জানান।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইসমাইল হোসেন বাচ্চু, ওই ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের সালাউদ্দিন, একই এলাকার আব্দুর রহমান, মফিজুর রহমান খন্দকার, জিয়াউদ্দিন শিমুল, জাহিদ বিন শুভ, রেজাউল করিম বাবলু, রিয়াজ উদ্দিন মিয়াজী ও আমির হোসেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- আলকরা ইউনিয়নের কুলাসার গ্রামের নুরুল আলম, কফিল উদ্দিন, নুরুন্নবী সুজন, ইকবাল আহমেদ, সাইফুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান খন্দকার, মোশারেফ হোসেন, মো. আলাউদ্দিন ও মোহাম্মদ আলী হোসেন। রায়ে যাবজ্জীবন পাওয়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন পাওয়াদের মধ্যে এক জন ও খালাস পাওয়াদের মধ্যে দুজন আদালতের কাঠগড়ায় হাজির ছিলেন। বাকিরা পলাতক বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী।
মামলার নথির বরাত দিয়ে আইনজীবী জাকির হোসেন বলেন, আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের তৎকালীন চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চুর চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপকর্মের প্রতিবাদ করায় ওই ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সভাপতি জামাল উদ্দিনের সঙ্গে বাচ্চুর বিরোধ ছিল।
২০১৬ সালের ৮ জানুয়ারি রাত ৮টার দিকে ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ঢাকার উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হন জামাল উদ্দিন। পথে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রামের পদুয়া সড়কে ব্যারিকেট দিয়ে গাড়িটি থামিয়ে চেয়ারম্যান বাচ্চুর নেতৃত্বে অন্য আসামিরা জামাল উদ্দিনকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করেন।
ঘটনার পরদিন নিহত জামালের বড় বোন জোহরা আক্তার বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান বাচ্চুকে প্রধান আসামি করে ২৩ জনের নামে চৌদ্দগ্রাম থানায় মামলা করেন।
মামলায় ২০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় বলে জানান আইনজীবী জাকির হোসেন।