\’যেকোনো মুহূর্তে পরমাণু যুদ্ধ বাধতে পারে\’

কোরীয় উপদ্বীপের পরিস্থিতি নিয়ে আগাম কিছু বলা যাচ্ছে না। যেকোনো মুহূর্তে পারমাণবিক যুদ্ধ বাধতে পারে বলে জানিয়েছেন, জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার উপরাষ্ট্রদূত কিম ইন-রিয়ং।

সোমবার স্থানীয় সময় যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের নিরস্ত্রীকরণ কমিটির কাছে কিম এমন আশঙ্কার কথা জানান।

উপরাষ্ট্রদূত বলেন, উত্তর কোরিয়াই একমাত্র দেশ, যেটি ১৯৭০-এর দশক থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি পরমাণু হামলার হুমকির শিকার। এমন বাস্তবতায় আত্মরক্ষার্থে পরমাণু অস্ত্র রাখার অধিকার আছে উত্তর কোরিয়ার।

কিম ইন-রিয়ং বলেন, প্রতিবছর যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে ‘পরমাণু সামগ্রী’ নিয়ে বড় ধরনের সামরিক মহড়ার আয়োজন করা হয়। সবচেয়ে বিপজ্জনক ব্যাপার হলো উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা কিম জং-উনকে সরাতে যুক্তরাষ্ট্রের গোপন অভিযান।

কিমের ভাষ্য, চলতি বছর উত্তর কোরিয়া রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তিতে পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করেছে। দেশটির কাছে এ মুহূর্তে বিভিন্ন পাল্লার (স্বল্প, মধ্যম ও দূর) পরমাণু বোমা, হাইড্রোজেন বোমা ও আন্তমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র আছে।

‘যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের পুরোটা এখন আমাদের ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার আওতায় আছে। আমাদের পবিত্র ভূমির একটি ইঞ্চিতেও আগ্রাসন চালানোর সাহস দেখালে বিশ্বের কোনো প্রান্তে গিয়ে নিদারুণ শাস্তি থেকে বাঁচতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র’, বলেন জাতিসংঘে নিযুক্ত উত্তর কোরিয়ার উপরাষ্ট্রদূত।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকা গুয়ামে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার হুমকির পর উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামরিক শক্তিধর রাষ্ট্রের স্নায়ুযুদ্ধ তুঙ্গে ওঠে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও উত্তর কোরিয়ার সর্বোচ্চ নেতা একের পর এক উসকানিমূলক বক্তব্য দিয়েছেন। এর মধ্যেই যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে উত্তর কোরিয়ার ওপর কয়েক দফায় নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে জাতিসংঘ। কিন্তু এর পরও উত্তর কোরিয়া বারবারই হামলা ও যুদ্ধ বাধার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩৩০ ঘণ্টা, ১৭ অক্টোবর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/সাদ

 

Scroll to Top