করোনাভাইরাসের অস্তিত্ব শরীরে আছে কিনা সেটি পরীক্ষার জন্য নমুনা না দিয়েই কোভিড-১৯ ‘পজিটিভ’ হয়েছেন এক তরুণ। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরে। গত মঙ্গলবার জেলায় নতুন যে ২৯ জন আক্রান্তের রিপোর্ট এসেছে তার মধ্যে মো. তৌহিদুল ইসলাম একজন।
তৌহিদুল জানান, করোনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ বা উপসর্গ না থাকলেও পরীক্ষার জন্য নমুনা দিতে জেলা সদর হাসপাতাল থেকে দেওয়া নির্ধারিত ফরম পূরণ করেন তিনি। গত ৩ জুন তার এক চাচার মাধ্যমে তিনিসহ আরও চারজন ফরম পূরণ করেন। পরদিন দুপুরে তাদেরকে নমুনা দেওয়ার জন্য হাসপাতালের নমুনা সংগ্রহ বুথে যেতে বলা হয়। কিন্তু ওইদিন দুপুরে জরুরি কাজে আটকে যাওয়ায় তিনিসহ ওই চারজনের কেউই নমুনা দিতে পারেননি।
গতকাল মঙ্গলবার বিকালে তার মুঠোফোনে কল করে একজন জানান, জেলায় আসা কোভিড-১৯ পজিটিভ রোগীর নামের সঙ্গে তার নামও রয়েছে। তাকে আইসোলেশনে থাকতে বলা হয়।
তিনি বলেন, আমার সঙ্গে ফরম পূরণ করা বাকি চারজনের কেউ ফোন পায়নি। শুধু আমাকেই ফোন করে বলা হয়েছে আমি কোভিড-১৯ পজিটিভ। আমি তো নমুনাই দেইনি। তাহলে পজিটিভ হলাম কীভাবে! তবে খবরটি জানার পর থেকেই আমি ঘরে আলাদাভাবে থাকছি।
জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. শওকত হোসেন বলেন, কী কারণে এমনটি হয়েছে সেটি আমরা খতিয়ে দেখছি। যারা নমুনা সংগ্রহের দায়িত্বে আছেন তাদেরকে ডেকে এনে এটি যাচাই করার জন্য বলা হয়েছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ একরাম উল্লাহ বলেন, ‘যাচাই-বাছাইয়ের আগে এ বিষয়ে কিছু বলা যাবে না।’