অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস সাজঘরে ফিরলেন ডাবল সেঞ্চুরির আফসোস নিয়ে। টেস্টে ১৯৯ রানে আউট হওয়ার দুর্ভাগ্যজনক রেকর্ডে নিজের নাম লেখালেন শ্রীলঙ্কান অলরাউন্ডার। নাঈম হাসানের বলে সাকিব আল হাসানকে ক্যাচ দিয়ে হতাশায় ডুবলেন চট্টগ্রাম টেস্টে বুক চিতিয়ে লড়াই করা ম্যাথিউস। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার বিদায়ের সঙ্গে ৩৯৭ রানেই থেমে গেল শ্রীলঙ্কার ইনিংস। বাংলাদেশের নাঈম হাসান ৬ উইকেট।
শ্রীলঙ্কা দলের সামনে ৪০০ রান যখন বাস্তবতা, তখনই উড়িয়ে মারতে গিয়ে সাকিব আল হাসানের হাতে ধরা পড়লেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস। ১৯৯ রানে আউট হয়ে অল্পের জন্য পেলেন না ডাবল সেঞ্চুরি। তবে বাংলাদেশের জন্য আনন্দের উপলক্ষ্য হয়ে এলো নাঈম হাসানের ৬ উইকেট। টেস্ট ক্যারিয়ারে তৃতীয়বারের মতো ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন তিনি।
এদিকে মধ্যাহ্নবিরতির আগে জোড়া আঘাত হেনে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছিলেন নাঈম। আর বিরতির পর উইকেট শিকারের উৎসবে যোগ দিয়ে জোড়া আঘাত হানেন সাকিব। মধ্যাহ্নবিরতির পর অধিনায়ক মুমিনুল হক বল হাতে তুলে দেন নাঈমের হাতে। পরের ওভারে আক্রমণে আসেন টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। প্রথম বলে ম্যাথিউসকে ১ রান দেওয়ার পর, দ্বিতীয় বলেই বোল্ড আউট করেন রামেশ মেন্ডিসকে (১)। পরের বলেই তার ঘূর্ণিতে পরাস্ত লাসিথ এমবুলদেনিয়া। রিভিউ নিয়ে এলবিডব্লিউ থেকে রেহাই পেলেন না এমবুলদেনিয়া (০)।
এর আগে একই ওভারে দিনেশ চান্দিমাল ও নিরোশান ডিকওয়েলাকে সাজঘরে ফিরিয়ে টাইগার শিবিরে স্বস্তি ফিরিয়েছেন স্পিনার নাঈম হাসান। দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ১৪৮ বল মোকাবিলায় ৬৬ রানের ইনিংস খেলে নাঈম হাসানের এলবিডব্লিউর ফাঁদে পড়ে সাজঘরে ফেরেন দিনেশ চান্দিমাল। মাঠ ছাড়ার আগে তিনি ক্রিজে থিতু হওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের সঙ্গে গড়েন ১৩৬ রানের বড় জুটি।
এদিকে চান্দিমাল উইকেটে থিতু হওয়া ম্যাথিউসকে যোগ্য সঙ্গ দিলেও ষষ্ঠ উইকেটে নামা ডিকওয়েলাকে সে সুযোগ দেননি নাঈম। ইনিংসের ১১৩তম ওভারে এসে প্রথম বলে চান্দিমালকে ফেরানোর পরে পঞ্চম বলে বোল্ড আউট করেন ডিকওয়েলাকে। তিনি ৩ বল মোকাবিলায় ৩ রান করেন।
এর আগে প্রথম দিন ওশাদা ফার্নান্দো ৩৬, দিমুথ করুণারত্নে ৯, কুশাল মেন্ডিস ৫৪ ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন। টাইগার বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিজের ঝুলিতে পুরেছেন নাঈম। সাকিবের শিকার ৩, একটি উইকেট শিকার করেছেন তাইজুল ইসলাম।