মুচলেকা নিয়ে সৈয়দা রত্না ও তার ছেলে পিয়াংশুকে ছেড়ে দিয়েছে কলাবাগান থানা পুলিশ। গতকাল রবিবার দিবাগত রাত সোয়া ১২টায় থানা থেকে বেরিয়ে আসেন রত্না ও তার ছেলে। এ সময় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে স্লোগান দেন থানার সামনে অবস্থান নিয়ে থাকা সংস্কৃতিকর্মী ও তাদের স্বজনরা।
এর আগে সন্ধ্যার পর থেকেই থানার সামনে অবস্থান নেন উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী, নাট্যদল বটতলাসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। গান গেয়ে প্রতিবাদ জানান তারা।
পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে রত্মার মেয়ে শেঁউতি শাহগুফতাকে ভেতরে নেওয়া হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে এসে রত্নার পরিবার থেকে জানানো হয়, কিছুক্ষণের মধ্যেই ছেড়ে দেওয়া হবে তাদের। পরে সোয়া ১২টায় বেরিয়ে আসেন রত্না ও তার ছেলে পিয়াংশু।
কলাবাগান এলাকার একটি মাঠে থানা ভবন নির্মাণের প্রতিবাদে সোচ্চার ছিলেন ওই এলাকার বাসিন্দা সৈয়দা রত্না। তিনি বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠীর সদস্য।
গতকাল রোববার সকালে ওই মাঠে ইট-সুরকি ফেলা হলে সেখানে গিয়ে ফেসবুকে লাইভ করেন সৈয়দা রত্না। একপর্যায়ে সকাল ১১টার দিকে তাঁকে আটক পরে পুলিশ। পরে তার কলেজপড়ুয়া ছেলেকেও ধরে নেওয়া হয়।
রাতে কলাবাগান থানা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, সৈয়দা রত্নার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে দুটি মামলা দেওয়া হচ্ছে। এরপর কলাবাগান থানার ওসি পরিতোষ চন্দ্র বাইরে যান। থানায় ফিরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নয়, শুধু সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে সৈয়দা রত্নার বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হবে। আর তাঁর ছেলেকে স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
ওসি পরিতোষ এই ঘোষণা দেওয়ার পরপরই তার মোবাইলে একটি কল আসে। তখন পাশে গিয়ে ফোনে কথা বলেন তিনি। ফোনে কথোপকথন শেষে ওসি বলেন, কারও বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে না। মা–ছেলে দুজনকেই ছেড়ে দেওয়া হবে। শুধু মায়ের কাছ থেকে একটি মুচলেকা নেয়া হবে।