ময়মনসিংহের নান্দাইলে আতশবাজি বিস্ফোরণে নাছিমা আক্তার (৩০) ও আফিলা খাতুন (৫০) নামে দুই নারী শ্রমিক নিহত হয়েছে। বিস্ফোরণের এই ঘটনা ঘটে আজ বুধবার সকাল ৬টার দিকে উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাঁশাটি গ্রামে। পুলিশ জানিয়েছে, আতশবাজি তৈরির কারখানাটির ছিল না বৈধ কাগজপত্র। উপজেলার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের দক্ষিণ বাশঁহাটি গ্রামের বোরহান উদ্দিন কারখানার মালিক।
নিহত নাছিমা আক্তার চন্ডিপাশা ইউনিয়নের বারুইগ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী এবং আফিলা খাতুন দক্ষিণ বাশঁহাটি গ্রামের আব্দুল গণির স্ত্রী। স্থানীয় ও একাধিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে বোরহান উদ্দিন লাইসেন্সবিহীন আতশবাজির সরঞ্জাম সংরক্ষণসহ বিভিন্ন ধরনের আতশবাজি তৈরি করছিলেন। এসব আতশবাজি দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করেন তিনি। ওই কারখানায় জনপ্রতি ৫০০ টাকা হাজিরায় প্রতিদিন ১৪ থেকে ১৫জন নারী নিয়মিত কাজ করেন। আজ ভোর ৬টার দিকে হঠাৎ ওই কারখানায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। বিস্ফোরণে ঘটনাস্থলে দুই নারীর মৃত্যু হয়। তাদের দুজনের দেহ ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। এসময় একটি রান্নাঘরসহ চার কক্ষ বিশিষ্ট সেমি পাকা ঘরের চাল উড়ে চারপাশে ছিটকে পড়ে।
এছাড়া ওই ঘরের মাঝখানে পাকা ফ্লোর ডেবে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার পর কারখানার মালিক বোরহান উদ্দিন পলাতক রয়েছে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান, গৌরীপুর সার্কেল অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান ও নান্দাইল মডেল থানার ওসি মো. মিজানুর রহমান আকন্দ সহ বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা ও ফায়ার সার্ভিসের দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাব উদ্দিন ভূইয়া এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি করেছেন।
ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার আহমার উজ্জামান ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, লাইসেন্সবিহীন অবৈধভাবে আতশবাজি তৈরি করতে গিয়ে এ বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা ঘটনাটির তদন্ত করছি, তদন্ত শেষে প্রকৃত অপরাধীদের বিরুদ্ধ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।