পাকিস্তানে সেনাপ্রধান অসীম মুনিরকে হুমকি দিলেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টারদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে তিনি বলেন, তার স্ত্রী বুশরা বিবির কিছু হলে দায়ী থাকবেন অসীম। আর এজন্য তিনি অসীমকে ছাড়বে না।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টা ১৯ মিনিটের দিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে নিজেদের ভেরিফায়েড পেজে শেয়ার করা এক টুইটে ইমরান খানের উদ্ধৃতি দিয়ে এ কথা জানিয়েছে পিটিআই।
সেখানে ইমরান খান বলেছেন, ‘জেনারেল অসীম মুনির সরাসরি আমার স্ত্রীকে অভিযুক্ত করার সঙ্গে জড়িত। বিচারক বলেছেন যে, তার মাথায় বন্দুক ঠেকিয়ে এ সিদ্ধান্ত দিতে বাধ্য করা হয়েছে। আমার স্ত্রীর কোনো ক্ষতি হলে আমি অসীম মুনিরকে দায়ী করব। আমি আমৃত্যু অসীম মুনিরের পেছনে লেগে থাকব এবং তার অসাংবিধানিক ও বেআইনি কাজগুলো ফাঁস করব।’
মূলত ইমরান খানের মুখপাত্র ইন্তেজার হোসাইন পাঞ্জুথার একটি টুইট শেয়ার দিয়ে তার ক্যাপশনে ইমরান খানের এই উদ্ধৃতি লেখা হয়। পাঞ্জুথার টুইটে ইমরান খানের স্ত্রী বুশরার স্বাস্থ্য নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এর আগে গত ১ এপ্রিল তোশাখানা দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবির দণ্ড স্থগিত করেন ইসলামাবাদ হাইকোর্ট। প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক, বিচারপতি মিয়া গুলহাসান আওরঙ্গজেবের সমন্বয়ে গঠিত একটি ডিভিশন বেঞ্চ ইমরান খানের পক্ষ থেকে তোশাখানা মামলার দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে করা একটি আপিলের শুনানি শেষে এ নির্দেশ দেন।
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি ইসলামাবাদের দুর্নীতিবিরোধী বিশেষ আদালত ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে এ কারাদণ্ড দেন। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে পরবর্তী ১০ বছরের জন্য যে কোনো রাষ্ট্রীয় পদে দায়িত্ব পালনের অযোগ্য বলে ঘোষণা দেন এবং প্রায় ৭৯ কোটি পাকিস্তানি রুপি জরিমানা দেওয়ারও নির্দেশ দেন।
পরে ১ ফেব্রুয়ারি আরেকটি আদালত ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়েসংক্রান্ত ইদ্দত মামলায় এ দুজনকে আরও সাত বছর করে কারাদণ্ড দেন। এই দুই মামলারও আগে, সাইফার মামলায় ইমরান খান ও তার সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন।
গত বছরের ডিসেম্বরে পাকিস্তানের দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিবিলিটি ব্যুরো অভিযোগ আনে যে ইমরান খান সৌদি যুবরাজের কাছ থেকে প্রাপ্ত এক সেট গহনার দাম কম করে দেখানো হয়েছে অভিযোগ এনে নতুন মামলা করে। পরে চলতি বছরের জানুয়ারিতে ইমরান খান ও তার স্ত্রীকে এ মামলায় অভিযুক্ত করে।