এবারের ঈদযাত্রায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়ক দিয়ে নির্বিঘ্নে চলাচল করছেন যাত্রী ও চালকেরা। প্রতিবছর ঈদের কয়েকদিন আগে থেকেই এ মহাসড়কে ভোগান্তি নিয়ে চলাচল করতে হতো, এখন সেই পথ দিয়ে বিরতিহীন গাড়ি চলছে।
গাড়ির চাপ বাড়তে থাকলেও এখনো কোথাও কোনো ধীরগতি বা যানজটের সৃষ্টি হয়নি। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সমন্বিত উদ্যোগের কারণে এবার স্বস্তি নিয়ে বাড়ি ফিরছে সবাই।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকে মহাসড়কের কোথাও কোনো পরিবহনের ধীরগতি বা চাপ দেখা যায়নি। তবে গভীররাতে পরিবহনের চাপ ছিল। এলেঙ্গা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু পর্যন্ত ১৩ কিলোমিটারের দুই লেনের সড়ক নিয়ে সবার দুশ্চিন্তা থাকলেও এতে যান চলাচলে এখন পর্যন্ত কোনো সমস্যা হয়নি। ওই সড়ক দিয়ে শুধুমাত্র ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা পরিবহনগুলো উত্তরবঙ্গের দিকে চলাচল করছে। তবে উত্তরবঙ্গ থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী পরিবহনগুলো এলেঙ্গা-বঙ্গবন্ধু সেতুর ১৩ কিলোমিটার সড়কে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। ঢাকাগামী ওই সব পরিবহনগুলো ভুঞাপুর-এলেঙ্গা আঞ্চলিক বিকল্প সড়ক ব্যবহার করে ঢাকার দিকে চলাচল করছে। এতে যদিও পরিবহনগুলোর বাড়তি ১৫ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে যেতে হচ্ছে।
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বঙ্গবন্ধু সেতুতে টোল আদায় বেড়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় সেতুতে ২৯ হাজার ৭৮০টি পরিবহনের থেকে ২ কোটি ৫০ লাখ ৮৯ হাজার ২০০ টাকা টোল আদায় হয়েছে বলে জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবীর পাভেল।
যাত্রীরা জানান, টাঙ্গাইল অংশের মহাসড়কে কোথাও কোনো যানজট নেই। চিরচেনা মহাসড়ক এবার ঈদযাত্রায় স্বস্তি দিয়েছে। তবে আরও দুইদিন বাকি আছে ঈদের। এখনও প্রচুর মানুষ আসছে। তারপরও মহাসড়কে যানজট হওয়ার আশঙ্কা খুবই কম।
বগুড়াগামী এক বাস চালক বলেন, ঈদের আগে এই সময় মহাসড়কে ব্যাপক যানজট থাকতো। কিন্তু সড়ক উন্নয়ন আর প্রশাসনের হস্তক্ষেপে এবার যানজটমুক্ত। কোথাও কোনো সমস্যা হচ্ছে না। স্বাভাবিক গতিতেই গাড়ি চালাচ্ছি।
দিনাজপুরগামী বাসের এক সুপারভাইজার গণমাধ্যমকে বলেন, যাওয়া এবং আসাতে কোথায় কোনো যানজট পাইনি। এলেঙ্গা হতে কিছু অংশ এবং সেতুর আগে কিছু অংশ বাড়তি লেন করায় মহাসড়কে যানজট হয়নি। তবে সেতুর টোল প্লাজায় একটু ধীরগতি তৈরি হলেও সেতু পার হতে তেমন সময় লাগেনি।
বঙ্গবন্ধু সেতুপূর্ব থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর আশরাফ বলেন, এলেঙ্গা থেকে সেতু পর্যন্ত কোথাও কোনো পরিবহনের চাপ নেই। স্বাভাবিক গতিতেই পরিবহনগুলো চলাচল করছে মহাসড়কে। পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছে।