গ্রামীণ টেলিকমের কর্মীদের লভ্যাংশের ২৫ কোটি ২২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র গ্রহণের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, অনেকদিন ধরে আমার ও দেশের ওপর বালা-মুসিবত এসেছে।
আজ মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) অর্থ আত্মসাতের মামলায় হাজিরা দিতে ড. ইউনূসসহ সাতজন ঢাকা মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে হাজির হন। দুপুর পৌনে ১টায় আদালতে পৌঁছালে মামলার প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় ড. ইউনূস বলেন, আমরা যে সামাজিক ব্যবসার কথা বলছি সেটা সারা দুনিয়া বাংলাদেশ থেকে শিখতে চায়। বিভিন্ন দেশের মানুষজন এই ব্যবসা সম্পর্কে জানতে চায়, আমাকে তাদের দেশের আমন্ত্রণ জানায়। আমি যে সেসব দেশে যাই সেটা শুধুমাত্র আমার ফুর্তির জন্য নয়, এই ব্যবসাকে ছড়িয়ে দেয়ার জন্য।
তিনি বলেন, আমার মাঝে মাঝে খুব দুঃখ হয়, সারা পৃথিবী যেখানে আমাদের থেকে শিখতে চায়, আমাদের সেটাতে গৌরব বোধ করার কথা। সেটা না করে আমরা এমন কাজ করছি যে, আমরা যেন পাপের কাজ করে ফেলেছি। এমন অনুভূতি হওয়ার তো কারণ ছিল না। আমরা কাউকে বাধ্য করছি না, সারা দুনিয়া থেকে লোকজন উৎসাহ নিয়ে আসছে।
এই অর্থনীতিবিদ বলেন, আমার ও দেশের মানুষের ওপর বালা-মুসিবত এসেছে, দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, এ থেকে রেহাই না পেলে মুক্তি নাই। একটা বালা-মুসিবত পৃথিবীর চারদিকে ঘিরে আছে। সেই মুসিবত থেকেও আমাদের উদ্ধার পেতে হবে। সেই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য আমরা কিছুটা নির্দেশনা দিতে পারছি যে, এই পথে গেলে আমরা মুক্তিটা পাব।
দেশের বালা-মুসিবত কী সেই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, দেশের মানুষ যেভাবে থাকতে চায়, সেভাবে থাকতে পারছে না। আইনের শাসন বলে যে একটা জিনিস সেটা আমরা কোথাও পাচ্ছি না।
এদিকে অর্থপাচার ও আত্মসাতের মামলায় ড. মুহাম্মদ ইউনূস সহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন আদালত। মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালত-৪ বদলি করা হয়েছে। আগামী ২ মে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন আদালত।