রানবন্যার ম্যাচে ইতিহাস গড়ল সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। আইপিএল ইতিহাসের সর্বোচ্চ দলীয় রানের কীর্তি গড়েছে দলটি। পৌনে তিনশ রানের বিশাল লক্ষ্য দিল তারা। জবাবে ব্যাটিংয়ে নেমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সও লড়াই করল বেশ। আর তাতেই রেকর্ড বইয়ের অনেক পাতা ওলটপালট হয়ে গেল। শেষ পর্যন্ত অবশ্য রানউৎসবের ম্যাচটিতে হায়দরাবাদ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে।
গত বছর সেঞ্চুরিয়নে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সম্মিলিত ৫১৭ রান ছিল পুরুষ টি-টোয়েন্টি দুই দলের সমন্বিত রেকর্ড রান। বুধবার সেটা পেছনে ফেললো হায়দরাবাদ ও মুম্বাই। আগে ব্যাটিং করা হায়দরাবাদ করেছিল ২৭৭ রান। জবাবে ২৪৬ রানে থামে মুম্বাই। দুই দলের সমন্বিত রান ৫২৩! ৩১ রানে হেরে গেলেও মুম্বাই আইপিএল ইতিহাসে দ্বিতীয় ইনিংসে সর্বোচ্চ রান করেছে।
আরেকটি রেকর্ডও হয়েছে এই ম্যাচে, ছক্কার। আইপিএলে সর্বোচ্চ ৩৮ ছয় দেখা গেছে দুই দলের ধুন্ধুমার ব্যাটিংয়ে। ২০টি ছয় মেরেছে মুম্বাই।
২৭৮ রানের লক্ষ্যে নেমে মাত্র ৩.২ ওভারে ৫৬ রান তুলে ভেঙে যায় ওপেনিং জুটি। ইশান কিষাণ ১৩ বলে ৩৪ রান করে শাহবাজ আহমেদের শিকার হন। পরের ওভারে তাকে অনুসরণ করেন রোহিত শর্মা। নিজের ২০০তম আইপিএল ম্যাচে ১২ বলে ২৬ রান করেন তিনি। ৬ ওভারে ২ উইকেটে ৭৬ রান করে মুম্বাই। অষ্টম ওভারেই দলের সেঞ্চুরি।
দুই ওপেনারকে কয়েক বলের ব্যবধানে হারালেও রানের গতি ধরে রাখেন নামান ধীর ও তিলক ভার্মা। দুজনের আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে আস্কিং রান রেট ভালোভাবে ধরে রেখেছিল মুম্বাই। তিলক ২৪ বলে ২ চার ও ৫ ছয়ে হাফ সেঞ্চুরি করেন।
স্ট্র্যাটেজিক টাইম আউটের পর প্যাট কামিন্স তিলকের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নেন। ৩৪ বলে ৬৪ রান করেন তিনি। হার্দিক পান্ডিয়া ও টিম ডেভিড দলকে পথে রাখার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু হায়দরাবাদের পেসারদের নৈপুণ্যে আর পেরে ওঠেননি। হার্দিক ২৪ রানে থামেন। ডেভিড ২২ বলে ৪২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার রোমারিও শেফার্ড ১৫ রানে অপরাজিত ছিলেন।
এর আগে অভিষেক শর্মার ২৩ বলে ৬৩ রানে ভর করে হায়দরাবাদ রেকর্ড রান তোলে। ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। তার সঙ্গে ট্র্যাভিস হেড ও হেনরিখ ক্লাসেন ৬২ ও ৮০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।