‘কৃষকের পণ্য, কৃষকের দামে’ এই স্লোগানে রাজধানী ঢাকার পাঁচ স্থানে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ বিক্রির ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা)। আজ বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) থেকে ২৭ রমজান পর্যন্ত এই তরমুজ বিক্রি হবে।
বুধবার বাফার সভাপতি এ কে এম নাজিব উল্লাহ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাফার ব্যবস্থাপনায় আজ ২৮ মার্চ বৃহস্পতিবার রাজধানীর ৫টি স্থানে তরমুজ বিক্রি করা হবে। কৃষক সরাসরি তার উৎপাদিত তরমুজ সেসব বিক্রি করবেন। পরবর্তী সময়ে এর পরিসর আরও বাড়ানো হবে।
যে পাঁচটি স্থানে ন্যায্যমূল্যে তরমুজ পাওয়া যাবে সেগুলো হলো—খামারবাড়ির বঙ্গবন্ধু চত্বর, উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ার, সচিবালয়ের সামনে আব্দুল গণি রোড, মোহাম্মদপুরের জাপান গার্ডেন এবং পুরান ঢাকার নয়াবাজার।
এসব স্থানে কৃষকের দামে পাঁচ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১০০ টাকা, সাত কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ১৫০ টাকা, নয় কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা, ১১ কেজির বেশি ওজনের তরমুজ ২৫০ টাকায় পিস হিসেবে বিক্রি করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, কৃষক দাম পাচ্ছে না, আবার ভোক্তা বেশি দামে কিনে খাচ্ছেন—এ রকম খবর এখন গণমাধ্যমে নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। গত কয়েক দিন ধরেও আমরা গণমাধ্যমে দেখছি যে, বেগুন, লাউ, মুলাসহ বিভিন্ন শাকসবজি কৃষক ও উৎপাদক পর্যায়ে খুবই কম দামে বিক্রি হচ্ছে। বিপরীতে ঢাকায় ভোক্তা পর্যায়ে দাম অনেক বেশি। এমন পরিস্থিতিতে, মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য হ্রাস, কৃষক যেন তার উৎপাদিত পণ্য বিক্রি করে ন্যায্যমূল্য পায় এবং ভোক্তারাও যাতে সুলভমূল্যে পণ্য কিনতে পারেন এই লক্ষ্যে বাংলাদেশ এগ্রি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাফা) কৃষকের ক্ষেতের তরমুজ সরাসরি ভোক্তার হাতে তুলে দেয়ার এই উদ্যোগ নিয়েছে।