রাজধানীর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ডলার ও অন্যান্য বিদেশী মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয়ে কারসাজি ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ১৯ ব্যাংকার ও দুই মানি এক্সচেঞ্জারের দুই কর্মকর্তার নামে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
আজ বুধবার (২৭ মার্চ) দুদকের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় ১৯ জন ব্যাংকার ও দুইজন মানি এক্সচেঞ্জ প্রতিষ্ঠানের মালিককে আসামি করা হয়েছে। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমীন সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
আসামিরা হলেন- জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সুরুজ জামাল, প্রিন্সিপাল অফিসার শামীম আহমেদ, প্রিন্সিপাল অফিসার আশিকুজ্জামান, সিনিয়র অফিসার অমিত চন্দ্র দে, সিনিয়র অফিসার মানিক মিয়া, সিনিয়র অফিসার সাদিক ইকবাল, সিনিয়র অফিসার সুজন আলী, সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার আনোয়র পারভেজ, সিনিয়র অফিসার হুমায়ুন কবির; সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার সোহরাব উদ্দিন খান, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) শরীফুল ইসলাম ভূইয়া, সিনিয়র অফিসার মোহাম্মদ সবুজ মীর, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) খান আশিকুর রহমান, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) এবিএম সাজ্জাদ হায়দার, সিনিয়র অফিসার (ক্যাশ) কামরুল ইসলাম, অফিসার সামিউল ইসলাম খান, সাপোর্টিং স্টাফ মোশারফ হোসেন; অগ্রণী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার আব্দুর রাজ্জাক, মিউচ্যুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের অফিসার আবু তারেক প্রধান, এভিয়া মানি চেঞ্জার কাস্টমার সার্ভিস ম্যানেজার আসাদুল হোসেন ও ইম্পেরিয়াল মানি এক্সচেঞ্জ কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এম কবির আহমেদ।
তাদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১/১০৯; দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২); মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) এবং ফরেন এক্সচেঞ্জ রেগুলেশন অ্যাক্ট, ১৯৪৭ এর ২৩(১) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। এ বিষয়ে দুদক সচিব বলেন, বিমানবন্দরে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় আসামিদের বিরুদ্ধে বিদেশি মুদ্রা ক্রয়-বিক্রয় ও মানি লন্ডারিংয়ের সঙ্গে জড়িত থাকার বিষয়ে প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়া গেছে। তারা অবৈধভাবে বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করে মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে অর্থ পাচারকারী দুর্নীতিবাজদের অবৈধভাবে মুদ্রা সরবরাহ করছেন।