বিভিন্ন বেসরকারি স্কুল-কলেজে নতুন নিয়োগ পাওয়া ৫ হাজার ৪৬৩ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এমপিও কমিটি। তাদের মধ্যে স্কুলে ৪ হাজার ৬৯৬ জন ও কলেজের ৭৬৭ জন রয়েছেন।
এ ছাড়া ২ হাজার ৮২৮ জন শিক্ষককে উচ্চতর স্কেল ও ১ হাজার ৪৫৩ জন স্কুলশিক্ষককে বিএড স্কেল দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। আর ১৩২ জন প্রভাষককে পদোন্নতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এমপিও কমিটি।
এতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তিনজন কর্মকর্তা, মাউশি অধিদপ্তরের ৯ জন করে আঞ্চলিক পরিচালক ও উপ-পরিচালক এবং অধিদপ্তরের সিনিয়র সিস্টেম অ্যানালিস্টসহ ৩৫ জন কর্মকর্তা অংশ নেন।
সভায় অংশ নেওয়া কর্মকর্তারা জানান, স্কুলের ৪ হাজার ৬৯৬ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৩১০, চট্টগ্রামের ৩৩৮, কুমিল্লার ২৮৯, ঢাকার ৭৪১, খুলনার ৫৯১, ময়মনসিংহের ৫১৪, রাজশাহীর ১ হাজার ৬১, রংপুরের ৬৮৩ এবং সিলেটের ১৬৯ জন।
কলেজের ৭৬৭ জন শিক্ষক-কর্মচারীর মধ্যে বরিশাল অঞ্চলের ৭৩ জন, চট্টগ্রামের ২৪, কুমিল্লার ৪৩, ঢাকার ১৬০, খুলনার ৭৬, ময়মনসিংহের ১১৮, রাজশাহীর ১২৩, রংপুরের ১০৫ এবং সিলেট অঞ্চলের রয়েছেন ৪৫ জন।
মাউশি অধিদপ্তর সূত্র জানায়, নিয়ম অনুযায়ী-গত কয়েকমাসে নিয়োগ পাওয়া শিক্ষক ও কর্মচারীরা এমপিওভুক্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করেছিলেন। জানুয়ারি মাসের আবেদন নিষ্পত্তি করে এসব শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিটি। নতুন এমপিওভুক্তদের মধ্যে চতুর্থ গণবিজ্ঞপ্তিতে নিয়োগ সুপারিশ পাওয়া শিক্ষকই বেশি।
প্রতি দুমাস পর পর মাউশিতে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ১৭ জানুয়ারি বেসরকারি স্কুল-কলেজের ৯ হাজার ৬৫০ জন শিক্ষক-কর্মচারীকে এমপিওভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়।
দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ের বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ও ভাতা বাবদ যে অর্থ সরকার দিয়ে থাকে, তাকে ইংরেজিতে বলা হয় মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার বা এমপিও।