তুরস্কের এজিয়ান সাগরে এক অভিবাসী রাবার ডিঙ্গি ডুবে যাওয়ায় অন্তত ২২ জন অভিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। নিহতদের মধ্যে সাতজন শিশু রয়েছে। তুরস্কের দ্বীপ গোকসেদাতে এই ঘটনা ঘটে।
এ সময় চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। গত শুক্রবার এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে স্থানীয় গভর্নরের কার্যালয়। খবর আল জাজিরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, \”তুর্কি উপকূলরক্ষীরা সাত শিশুসহ ২২ জনের মৃতদেহ খুঁজে পেয়েছে।\”
গর্ভনর ইলহামি আকতাস তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, তুর্কি কোস্টগার্ড কানাতালে প্রদেশের ইসেবাত শহরের উপকূল থেকে দুজনকে উদ্ধার করেছে এবং দুজন নিজ থেকে উপকূলে আসতে পেরেছে।
কর্তৃপক্ষ বলছে, রাতেই দুর্ঘটনা ঘটে। গোকসিয়াদার কাছে কাবাটেপেতে বেশ কয়েকটি অ্যাম্বুলেন্স অপেক্ষমান রয়েছে। উদ্ধার অভিযান চলছে, উদ্ধার কাজে একটি প্লেন, দুটি হেলিকপ্টার, একটি ড্রোন, ১৮টি নৌকা এবং ৫০২ জন উদ্ধারকর্মী অংশ নিয়েছেন। তুরস্কের কোস্টগার্ড বলছে, সপ্তাহের শুরু থেকে তারা অবৈধভাবে গ্রীসে যাওয়ার পথে শতাধিক মানুষকে বাঁধা দিয়েছে। যার মধ্যে শিশুরাও ছিল। অবৈধ অভিবাসী বোঝাই নৌকা ঠেলে দেয়ায় এথেন্সের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছে তুরস্ক।
গত বছরের ডিসেম্বরে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেফ তাইয়েপ এরদোয়ান এথেন্সে ভ্রমণ করেন। এ ভ্রমণে গ্রীসের সঙ্গে অবৈধ অভিবাসীদের ব্যাপারে দুই দেশ সমস্যা নিরসনে কাজ করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। অনেক অভিবাসী তুরস্কে থেকে ইউরোপে প্রবেশের চেষ্টা করছে। এজন্য তারা গ্রীসকে বেছে নিচ্ছে। তবে সমুদ্র পথ পাড়ি দিতে গিয়ে অনেকের মৃত্যু হচ্ছে।