কিংবদন্তি রবীন্দ্রসংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের জানাজা বৃহস্পতিবার বাদ জোহর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাকে মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে জানিয়েছে তার পরিবার।
গতকাল বুধবার রাত ৯টার দিকে সাদি মহম্মদের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া যায়। তার ভাই নৃত্যশিল্পী শিবলী মহম্মদ জানান, ওই দিনও তানপুরা নিয়ে তিনি সংগীত চর্চা করেছেন। সন্ধ্যার পর হঠাৎ দেখেন ঘরের দরজা বন্ধ। তখন দরজা ভেঙে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী সাদি মহম্মদের মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ধানমন্ডিতে আল মারকাজুল ইসলামীতে নেয়া হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বাদ জোহর মোহাম্মদপুর জামে মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর তাঁকে মোহাম্মদপুর জামে মসজিদ কবরস্থানে দাফন করা হবে। তাঁর পরিবারের একটি সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।
মরদেহ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ধানমন্ডিতে আল মারকাজুল ইসলামীতে নেওয়া হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় তার মরদেহ সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের এডিসি মৃত্যুঞ্জয় দে সজল সমকালকে বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা, শিল্পী সাদি মহম্মদ আত্মহত্যা করেছেন।’ পরে মরদেহ শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে রাখা হয়।
জানা গেছে, গত বছরের ৮ জুলাই সাদি মহম্মদের মা জেবুন্নেছা সলিমউল্লাহ (৯৬) বার্ধক্যজনিত রোগে মারা যান। মা মারা যাওয়ার পর থেকেই একটা ট্রমার মধ্যে চলে যান শিল্পী সাদি মহম্মদ। মানসিকভাবে স্বাভাবিক ছিলেন না তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, মা হারানোর বেদনা তিনি নিতে পারেননি।
সাদি মহম্মদ রবীন্দ্রসঙ্গীতের ওপরে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।
২০০৭ সালে ‘আমাকে খুঁজে পাবে ভোরের শিশিরে’ অ্যালবামের মাধ্যমে তিনি সুরকার হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। ২০০৯ সালে তার ‘শ্রাবণ আকাশে’ ও ২০১২ সালে তার ‘সার্থক জনম আমার’ অ্যালবাম প্রকাশিত হয়।
এছাড়া ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি হত্যা করে তার বাবা সলিমউল্লাহকে। তার বাবার নামে ঢাকার মোহাম্মদপুরের সলিমউল্লাহ রোডের নামকরণ করা হয়েছে।