উচ্চমূল্যের বিদ্যুৎ ক্রয়, অতিমাত্রায় এলএনজি নির্ভরতা এবং বড় অংকের ক্যাপাসিটি পেমেন্টের কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়াতে হয়েছে, যা জনগণের ওপর চাপানো হয়েছে। এমনটাই মনে করে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি বলছে, ভর্তুকি সমন্বয়ের নামে বিদ্যুতের এই দাম বৃদ্ধি মোটেও যৌক্তিক নয়।
আজ বুধবার (১৩ মার্চ) রাজধানীর ধানমন্ডিতে সিপিডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন সংস্থার গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি বলেন, বিইআরসির মাধ্যমে গণশুনানি না করে নির্বাহী আদেশে বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনগণের মতামত উপেক্ষিত হয়েছে। এই মূল্যবৃদ্ধির পরেও বছরে ৩৯ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি দিতে হবে বিদ্যুৎ খাতে। দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে যার পুরোটা সমন্বয় করা হলে ইউনিট প্রতি দাম প্রায় সাড়ে ১৬ টাকায় দাঁড়াবে।
ভোক্তাদের এমন চাপ থেকে বাঁচাতে বিকল্প পদ্ধতিতে ভর্তুকি সমন্বয়ের পরামর্শ দেয় সিপিডি।
ইউনিট প্রতি ৩৪ থেকে ৭০ পয়সা পর্যন্ত বেড়েছে বিদ্যুতের দাম। ৮ দশমিক ৫ শতাংশ দাম বৃদ্ধির এ সিদ্ধান্ত ফেব্রুয়ারি থেকে কার্যকরের ঘোষণা দিয়ে ভোক্তার ওপর এক বছরের ব্যবধানে সাড়ে ১৭ শতাংশ বাড়তি খরচের বোঝা চাপিয়েছে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়। এই তথ্য তুলে ধরে সিপিডির গবেষকরা বলছেন, ভর্তুকি সমন্বয়ের নামে দরবৃদ্ধির ফলে শিল্পকারখানার খরচের পাশাপাশি ভোক্তাদের খরচ বাড়বে ৯.৪ শতাংশ।
সিপিডি বলছে, পরিকল্পনামাফিক সরকার আরও দুই বার দাম বৃদ্ধি করলে অর্থনীতিতে চাপ আরও বাড়বে। তাই বিদ্যুৎ-জ্বালানির মূল্য সমন্বয়ে বিইআরসির গণশুনানির পদ্ধতি পুনর্বহালের তাগিদ দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।