চলমান বিপিএলের পঞ্চম আসরের পঞ্চম ম্যাচে জয় পেয়েছে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। রাজশাহী কিংসের বিপক্ষে আগের ম্যাচে হেরে যাওয়া কুমিল্লা ৮ উইকেট আর ১৬ বল হাতে রেখে জয় তুলে নেয়। ফলে, নিজেদের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে বিপিএল শুরু হলো চিটাগং ভাইকিংসের।
নিজেদের প্রথম ম্যাচে বড় স্কোরের আশা জাগিয়েও সমর্থকদের হতাশ করে চিটাগং ভাইকিংস। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বিপক্ষে সৌম্য-রঞ্চির ওপেনিং জুটিতে দুর্দান্ত শুরু পরও অন্য ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় নির্ধারিত ওভার শেষে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ৭ উইকেটে ১৪৩। শেষ দশ ওভারে আসে মাত্র ৫২। জবাবে, ১৭.২ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে জয়ের বন্দরে পৌঁছে কুমিল্লা।
সিলেট সিক্সার্সের কাছে প্রথম ম্যাচে হারের পর জয়ে ফিরতে মরিয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স বোলাররা দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়ায়। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে ৬৩ রান তোলেন সৌম্য সরকার ও লুক রঞ্চি। ষষ্ঠ ওভারের পঞ্চম বলে বিপদজনক হয়ে ওঠা নিউজিল্যান্ড উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান রঞ্চিকে (২১ বলে ৪০) কাভার অঞ্চলে অলোক কাপালির ক্যাচ বানিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন তামিম ইকবালের অনুপস্থিতিতে অধিনায়ত্বের দায়িত্ব পালন করা আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী।
রঞ্চির বিদায়ে দিলশাল মুনাবেরাকে নিয়ে রানের চাকা সচল রাখছিলেন দলের আইকন ক্রিকেটার সৌম্য। ১০ ওভার শেষে স্কোর ছিল ১ উইকেটে ৯১। কিন্তু এক ওভারে (১৪তম) দুই উইকেট নিয়ে চিটাগংকে ব্যাকফুটে ঠেলে দেন উদীয়মান পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন। সৌম্যকে (৩৩ বলে ৩৮) বোল্ড করার পর আনামুল হক বিজয়কে (৩) লং-অনে ডোয়াইন ব্রাভোর তালুবন্দি করেন। এই ধাক্কাটা আর সামলে উঠতে পারেনি চিটাগং।
তার আগে ১২তম ওভারে স্কুপ শট খেলতে যাওয়া মুনাবেরাকে (২১) বুদ্ধিদীপ্ত স্লোয়ার ডেলিভারিতে মারলন স্যামুয়েলসের ক্যাচে পরিণত করেন ব্রাভো। সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত পেয়েও সেটিকে টেনে নিতে ব্যর্থ চিটাগংয়ের ব্যাটিং লাইনআপ। সৌম্য-রঞ্চি-মুনাবেরা আর ১৮ রানে অপরাজিত থাকা সিকান্দার রাজা ছাড়া আর কেউই দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। অধিনায়ক মিসবাহ উল হক ৬, লুইস রিসি ৯, সোহরাওয়ার্দী শুভ ৩ রান করে আউট হন।
চার ওভারে ২৪ রানের বিনিময়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট দখল করেন সাইফুদ্দিন। ব্রাভো নেন দুই উইকেট। বাকি দু্’টি নেন আল আমিন হোসেন ও মোহাম্মদ নবী। ২১ রান দিয়ে উইকেটশূন্য থাকেন নবীর স্বদেশী লেগস্পিন তারকা রশিদ খান।
১৪৪ রানের টার্গেটে ব্যাটিংয়ে নেমে ভিক্টোরিয়ান্স ওপেনার লিটন দাস বিদায় নেন ব্যক্তিগত ২৩ রান করে। সাজঘরে ফেরার আগে ১৪ বলে তিনটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকান লিটন। আরেক ওপেনার জস বাটলার ৪২ বলে তিনটি চার আর দুটি ছক্কায় করেন ৪৮ রান। তিন নম্বরে নামা ইমরুল কায়েস ৩১ বলে ৩৩ রান করে অপরাজিত থাকেন। ব্যাটে ঝড় তোলা মারলন স্যামুয়েলস ১৮ বলে চারটি চার আর একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
চিটাগংয়ের সুবাশীষ রায় ৩.২ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন দুটি উইকেট। সাঞ্জামুল, সোহরাওয়ার্দি, তাসকিন, সিকান্দার রাজা, লুইস রিসি কোনো উইকেট পাননি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩০ ঘণ্টা, ০৭ নভেম্বর ২০১৭
লেটেস্টবিডিনিউজ.কম/এস পি