পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান প্রদেশে আকস্মিক তুষারপাত, বজ্রবিদ্যুৎসহ ঝড় ও হিমশীতল বৃষ্টিতে অন্তত ৩৫ জনের প্রাণহানি ঘটেছে, সেই সাথে আহত হয়েছে বহু মানুষ।
বিবিসি জানিয়েছে, তিন মার্চ থেকে শুরু হওয়া তুষারপাত ও ঝড়বৃষ্টিতে নিহতদের ২২ জনই শিশু। এই নিহতদের বেশিরভাগেরই মৃত্যুর কারণ বৃষ্টিপাতের কারণে ঘটা ভূমিধস। প্রবল বৃষ্টিতে দুই প্রদেশে অন্তত ১৫০টি ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বংস এবং ৫০০টি আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
পাকিস্তানে সাধারণত শীতকাল স্থায়ী হয় ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি পর্যন্ত। তারপর থেকে বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। মার্চ মাসের শুরু থেকেই গ্রীষ্মকাল শুরু হয় পাকিস্তানে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আবহাওয়ার এই হঠাৎ পরিবর্তনে রীতিমতো অবাক হয়েছেন দেশটির আবহাওয়াবিদরাও।
পাকিস্তানের আবহাওয়া দপ্তরের সাবেক পরিচালক জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া বিশেষজ্ঞ মুশতাক আলি শাহ বিবিসিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘গ্রীষ্মের শুরুর দিকে হালকা বর্ষণ বিরল নয়, তবে এই ধরনের তুষারপাত, ঝড়-বৃষ্টি অনাকাঙ্ক্ষিত। আমরা এর কোনো বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পাচ্ছি না। সম্ভবত বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনের জেরে এমন ঘটনা ঘটেছে।’
বৈরী আবহাওয়ার কারণে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তানের অনেক দুর্গম অঞ্চলে সড়ক ও মোবাইল যোগাযোগ নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনেক এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে বিদ্যুৎ নেই।
খাইবার পাখতুনখোয়ার কির্ক জেলার বাসিন্দা হাজিত শাহ (৪০) বলেন, ‘আমি আমার সারাজীবনে খাইবার পাখতুনখোয়ায় এ নিয়ে মাত্র দু’বার তুষারপাত দেখেছি। এর আগে যখন দেখেছিলাম, তখন আমার বয়স ছিল ১০ বছর। তবে সেবার তুষারপাত হয়েছিল শীতকালে এবং তার পরিমাণ ছিল এবারের তুলনায় অনেক কম।’