বিয়ে মানুষের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অনুষঙ্গ। প্রাপ্ত বয়স্ক ও সামর্থ্যবানদের জন্য বিয়ে দ্রুত বিয়ের নির্দেশ করেছেন আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। বর্ণিত হয়েছে, ‘হে যুব সম্প্রদায়! তোমাদের মধ্যে যে বিয়ের সামর্থ্য রাখে, সে যেন বিয়ে করে নেয়, কেননা তা চক্ষুকে সংযত রাখে এবং লজ্জাস্থান রক্ষা করে। (বুখারি, হাদিস, ৫০৬৬; মুসলিম, হাদিস, ১৪০০)
রাসূল সা. আরও বলেন, ‘যখন বান্দা বিয়ে করে, তখন সে তার দ্বীনের অর্ধেক পূরণ করে। অতএব, বাকি অর্ধেকাংশে সে যেন আল্লাহকে ভয় করে।’ (সহিহ আল-জামিউস সাগির ওয়া জিয়াদাতুহু, হাদিস, ৬১৪৮; তাবরানি, হাদিস, ৯৭২; মুসতাদরাক হাকিম, হাদিস, ২৭২৮)
ইসলামে বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য সাক্ষী থাকা গুরুত্বপূর্ণ। সাক্ষী ছাড়া বিয়ে হয় না। ইসলামী শরিয়তে বিয়ে বৈধ হওয়ার জন্য কমপক্ষে দু’জন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন মহিলা সাক্ষী থাকতে হয় এছাড়া বিয়ে ও সংসার জীবন বিশুদ্ধ হয় না। তাই বিয়ের আকদের সময় সাক্ষী রাখতে হবে।
এর দলিল হিসেবে ইসলামী আইন ও ফেকাহ শাস্ত্রবিদেরা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিস উল্লেখ করেন। আল্লাহর রাসুল বলেন,
لا نكاح إلا بولي وشاهدي عدل
‘অভিভাবকের অনুমতি ও দুজন সাক্ষীর উপস্থিতি ব্যতীত বিবাহ শুদ্ধ হবে না।’ (সুনানে দারাকুতনী ৩/১৯০)
যারা বিয়েতে সাক্ষী থাকবেন তাদের বেশ কিছু গুণ থাকতে হবে। এসব গুণাবলী না থাকলে কেউ বিয়ের অভিভাবক হতে পারবে না। বিয়ের সাক্ষীদের যেসব গুণ থাকতে হয়। তা হলো-
১. সুস্থমস্তিষ্কের হওয়া।
২. মুসলমান হওয়া।
৩. শ্রবণশক্তি সম্পন্ন হওয়া।
৪. বালেগ হওয়া।
৫. দুইজন পুরুষ বা একজন পুরুষ ও দুইজন নারী হওয়া।
(রদ্দুল মুহতার ৩/২১, মাবসূত সারাখসী ৫/৩১, ফাতাওয়া হিন্দিয়া ১/২৬৭)