বিশ্বের বৃহৎ অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির মুদ্রা দিয়ে বৈশ্বিক বাণিজ্যের বিরাট অংশ হয়ে থাকে। তবে, সম্প্রতি সময়ে দেশটিতে বাড়ছে জাতীয় ঋণের পরিমাণ। এমনকি, প্রতি ১০০ দিনে দেশটির জাতীয় ঋণের খাতায় নতুন করে যুক্ত হবে এক লাখ কোটি মার্কিন ডলার।
গত শুক্রবার (১ মার্চ) এক প্রতিবেদনে মার্কিন গণমাধ্যম সিএনবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
মার্কিন ট্রেজারি বিভাগের তথ্য অনুসারে, গত ২৯ ডিসেম্বর সাময়িকভাবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঋণের বোঝা সর্বোচ্চ সীমা ৩৪ ট্রিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়। ৪ জানুয়ারিতে দেশের ঋণ স্থায়ীভাবে ৩৪ ট্রিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। এর আগে ২০২৩ সালে ১৫ সেপ্টেম্বর এই সংখ্যা ছিল ৩৩ ট্রিলিয়ন।
২০২৩ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় ঋণ ৩৩ ট্রিলিয়ন ডলারের ঘরে ছিল। আর জুনের ১৫ তারিখে ঋণের পরিমাণ ছিল ৩২ ট্রিলিয়ন ডলারে। মাত্র সাত মাসের ব্যবধানে দেশটির ঋণ দুই ট্রিলিয়ন বেড়েছে। এর আগে ঋণের পরিমাণ এক ট্রিলিয়ন ডলার বাড়তে সময় লেগেছিল অন্তত আট মাস।
মার্কিন ঋণ হলো ফেডারেল সরকারের খরচ মেটানোর জন্য যে পরিমাণ অর্থ ধার করা হয় তা। বুধবার পর্যন্ত মার্কিন ঋণ দাঁড়িয়েছে ৩৪.৪ ট্রিলিয়ন ডলার।
ব্যাংক অব আমেরিকার বিনিয়োগ কৌশলবিদ মাইকেল হার্টনেটের মতে, ১০০ দিনে যেভাবে এক ট্রিলিয়ন ডলার করে ঋণ বাড়ছে, তা ৩৪ থেকে ৩৫ ট্রিলিয়নেও বজায় থাকবে। এক নোটে বৃহস্পতিবার তিনি লেখেন, ‘ঋণ অবক্ষয়ের মধ্যেও শেয়ার বাজারের সূচক সর্বকালের সর্বোচ্চ ছিল। বিষয়টি নিয়ে আমি কিঞ্চিৎ অবাক।’
সরকারও ঋণ তোয়াক্কা না করে সামরিক ও সামাজিক খাতে দেদারসে খরচ করছে। বিদেশে বিভিন্ন যুদ্ধে বড় অংকের সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। এর ফলে অভ্যন্তরীণ তহবিল ঘাটতি ঠেকাতে ঋণ বাড়ছে যুক্তরাষ্ট্রের। গত চার বছরে বহির্বিশ্বের যুদ্ধ ও অভ্যন্তরীণ শান্তি ধরে রাখতে জিডিপির ৯ দশমিক ৩ শতাংশ ব্যয় করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্রের ঋণ বাড়ার মূল কারণ ব্যয় বৃদ্ধি ও রাজস্ব কমা। ব্যয় মেটাতে ঋণ নিয়ে যাচ্ছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। গত বুধবার পর্যন্ত দেশটির জাতীয় ঋণ ছিল ৩৪ দশমিক চার ট্রিলিয়ন ডলার।