ঢাকার শাহবাগে ফুলের দোকানে সংবাদ সংগ্রহের সময় তিন সাংবাদিককে দলবেঁধে দোকানের কর্মীরা মারধর করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।আজ মঙ্গলবার বিকালে শাহবাগ ফুলের মার্কেটে ‘ফুলতলা ফ্লাওয়ার সপ’ নামের একটি দোকানে এ ঘটনা ঘটে।
মারধরের শিকার তিন সাংবাদিক হলেন নিউজ বাংলা টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা বিশ্বদ্যালয় প্রতিনিধি মনিরুল ইসলাম, রেডিও টুডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. ইমদাদুল আজাদ ও বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি রাসেল সরকার। এঘটনায় ভুক্তভোগী মনিরুল ইসলাম বাদী হয়ে শাহবাগ থানায় মামলার আবেদন করেছেন। এতে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আরও ৬-৭ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
অভিযুক্তরা হলেন পায়েল (৩৫), সাল্লু (২৭), আব্দুর রাজ্জাক (৩৫), বুলু (৩২), দিদার (৩১), বাবু (৩০), জাহাঙ্গীর (৩২)। তারা সবাই শাহবাগ ফুল মার্কেটের কর্মচারী। শাহবাগ থানার ওসি মো. মোস্তাজিরুর রহমান বলেন, দুজন সাংবাদিককে শাহবাগ ফুল মার্কেটে মারধরের অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি মামলা হবে, প্রক্রিয়াধীন আছে।\” মামলার এজহারে ঘটনার বর্ণনা দিয়ে মনিরুল ইসলাম বলেন, আমি আমার সহকর্মী রাসেল সরকারকে নিয়ে শাহবাগ ফুল মার্কেটে ফুলের দাম বাড়ার কারণ সংক্রান্ত সংবাদ সংগ্রহে যাই। ফুলতলা ফ্লাওয়ার সপে কর্মরত পায়েলের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে সে আমাদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি, এপর্যায়ে খারাপ আচরণ শুরু করে দেন এবং আমাদেরকে ভুয়া সাংবাদিক বলে আখ্যায়িত করে।
“আমরা মৌখিক ভাবে প্রতিবাদ করলে সে উত্তেজিত হয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি চড়-থাপ্পর মারতে শুরু করে। আমার সহকর্মী প্রতিবাদ করতে গেলে বর্ণিত বিবাদীরাসহ অজ্ঞাতনামা ৬-৭ জন বিবাদী এসে আমাদের দুজনকে মারপিট করে।” সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে যান রেডিও টুডের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি মো. ইমদাদুল আজাদ। সাংবাদিক পরিচয়ে ঘটনার বিবরণ জানতে চাইলে বিবাদীরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাকেও মারপিট করে করে বলে অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এতে বলা হয়, ইমদাদুল আজাদকে রাস্তায় ফেলে এলোপাতাড়ি মারপিট করে তার ডান চোখে স্বজোড়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। পরবর্তীতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী আমাদেরকে চিনতে পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে এবং ইমদাদুল আজাদকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। ইমদাদুল আজাদের চোখে রক্তক্ষরণ হয়েছে বলে অভিযোগ করেন মনিরুল ইসলাম। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শাহবাগ ফুলতলা ফ্লাওয়ার সপের মালিক মো. মেরিন শেখ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। ঢাকা বাইরে আছি। শুনেছি দোকানো ঝামেলা হয়েছে। আমাদের দোকান ভাঙচুর করা হয়েছে।