বিএনপির স্থায়ী কমিটি মনে করে, সীমান্তে রক্তপাত ও নিরাপত্তা রক্ষায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ সরকারের কোনও সক্ষমতা নেই। দলটির দাবি, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার শাসনামলে তাদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বের কারণে মিয়ানমারের তৎকালীন শাসকশ্রেণী সীমান্তে উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারেনি। কারণ তারা যে কোনো আগ্রাসী আচরণের উপযুক্ত জবাব দিতে সদাপ্রস্তুত ছিলেন। কিন্তু বর্তমান গণধিকৃত সরকারের সেই সক্ষমতা নেই বলেই সীমান্তে অন্যায় রক্তপাতের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে ভয় পায়।
আজ মঙ্গলবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়। বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটিতে গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এ বিবৃতি দেওয়া হয়।
‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্ত বরাবর রক্তাক্ত সহিংসতায় বাংলাদেশ আক্রান্ত হওয়ার নিন্দা’ জানিয়ে দেওয়া বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, ‘গত এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ও তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের অভ্যন্তরে সামরিক জান্তার সশস্ত্র বাহিনী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের তুমুল গোলাগুলি সংঘর্ষ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে।’
বিএনপি বিবৃতিতে আরও জানায়, ‘দেশের জন্য অতি ঝুঁকিপূর্ণ এ অবস্থায় রাষ্ট্রীয়ভাবে তীব্র প্রতিবাদ জানানো ও কার্যকর রাজনৈতিক কার্যক্রমের মাধ্যমে দ্রুত পরিস্থিতি মোকাবিলার পরিবর্তে শুধু ধৈর্য ও সংযম প্রদর্শনের অবস্থান গ্রহণ নতজানু পররাষ্ট্রনীতির বহিঃপ্রকাশ বলে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটি।’