সিরিয়া এবং ইরাকে মার্কিন বাহিনী যে বিমান হামলা চালিয়েছে তা আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে অবৈধ বলে মন্তব্য করেছে রাশিয়া। জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত ভ্যাসিলি নেবেনজিয়া গতকাল (সোমবার) নিরাপত্তা পরিষদের জরুরি অধিবেশনে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন- ইরাক, সিরিয়া এবং ইয়েমেনে বেআইনিভাবে হামলা চালিয়ে আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাতকে আরো উসকে দিচ্ছে। নেবেনজিয়া বলেন- ইরাক, সিরিয়া ও ইয়েমেনে বিমান হামলা চালিয়ে আবারো আমেরিকা মধ্যপ্রাচ্য নীতিতে তাদের আগ্রাসী মনোভাব প্রকাশ করেছে যা আন্তর্জাতিক আইনে সম্পূর্ণভাবে অগ্রহণযোগ্য।
রাশিয়ার কোমেরসান্ত পত্রিকাকে দেয়া সাক্ষাৎকারে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তিনি রাশিয়ার সরকারি ছুটির তালিকায় আন্তর্জাতিক হলোকাস্ট স্মৃতি দিবস না রাখার সমালোচনা করেছেন। ইসরাইলি রাষ্ট্রদূত দাবি করেছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় একমাত্র ইহুদি জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে নাৎসীবাহিনী গণহত্যা চালায়।
এর পাশাপাশি হালপেরিন দাবি করেন, রাশিয়া হামাস সদস্যদের আতিথেয়তা করেছে যাদেরকে \”মস্কোতে অভ্যর্থনা জানানো ও লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়া হয়।\”
রোববার ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের এই সাক্ষাৎকার প্রকাশ করেছে কোমেরসান্ত। এসব অভিযোগের নিন্দা ও সমালোচনা করে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, তার বক্তব্য ঐতিহাসিক বাস্তবতা এবং রাশিয়ার পররাষ্ট্রনীতিকে বিকৃতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুস্পষ্ট করে বলেছে, আন্তর্জাতিক সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং গ্রহণযোগ্য তথ্য ও দলিল প্রমাণ থেকে পরিষ্কার যে, শুধুমাত্র ইহুদি জনগোষ্ঠীকে লক্ষ্য করে নাৎসি বাহিনী গণহত্যা চালায়নি বরং সে সময় বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে এই গণহত্যা পরিচালিত হয়েছে। ইসরাইলের রাষ্ট্রদূত হলোকাস্ট নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা মোটেই সঠিক নয়।
এছাড়া হামাস নেতাদের অভ্যর্থনা জানানো এবং তাদের সঙ্গে রাশিয়ার কর্মকর্তাদের আলোচনার বিষয়ে হালপেরিনের বক্তব্যকে বিভ্রান্তিকর বলে মন্তব্য করেছে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
হামাসের হাতে বন্দি থাকা ইসরাইলি নাগরিকদের চার মাস পরেও মুক্তি না দেয়ার ঘটনা উল্লেখ করে সিমোনা হালপেরিন যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সে প্রসঙ্গে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, বন্দীত্বের দুই মাস পর যেসব ব্যক্তি মুক্তি পেয়েছে তাদের মুক্তির ব্যাপারে রাশিয়া হামাসের সাথে কতটা যোগাযোগ করেছিল সে বিষয়ে ইসরাইলি রাষ্ট্রদূতের জানা উচিত। এছাড়া, এসব ব্যক্তি এখনো কেন হামাসের হাতে আটক রয়েছে সে বিষয়ে হেলপেরিনের উচিত তার সরকারকে জিজ্ঞেস করা।